১২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এতো মানুষ মরত না’

বেইলী রোড ট্র্যাজেডি

বেইলী রোডে গ্রিন কোজি কটেজে যদি আগুন লাগার আগে সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো তাহলে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটত না। কিন্তু এখন আগুন লাগার পর এত নিরাপত্তা কেন।

কথাগুলো বলেছেন বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যাওয়া শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিনের বাবা আবুল কাশেম। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে গ্রিন কোজি কটেজের সামনে আসেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিল স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে।

আবুল কাশেম বলেন, আমি কোথাও শান্তি পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে বললাম, আমাকে বেইলী রোডে নিয়ে যাও। আমি এখানে এসে ভেতরে ঢুকতে চাইছিলাম। ঢুকতে দিল না। এখন এত নিরাপত্তা, কিন্তু আগে যদি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হতো তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না আর এত মানুষও মারা যেত না। তিনি বলেন, ঘটনার আগের দিন আমার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। তারপর আর কোনো কথা হয়নি।

শাহজালালের বোন তসলিমা আক্তার লিমা বলেন, যার চলে যায় সেই বোঝে। আর কেউ বুঝবে না এটা। এটা অনেক কষ্টের। মনে হয়, আমার ভাই আসবে। এই মনে হয় দাঁড়িয়ে আছে, মনে হয় ফোন করবে। ফোনের মধ্যে চেয়ে থাকি কখন যে আমার ভাই ফোন করবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কাছে একটাই চাওয়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। এরকম যেন আর কেউ স্বজন না হারায়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন মারা যায়। এই ঘটনায় নিহত হন শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা জাহান ও তাদের তিন বছর বয়সি সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা। এদিকে গতকাল (রোববার) সকালেও ভবনটির সামনে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায় নিরাপত্তার দায়িত্বে। ভবনটির সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে রাখা হয়েছে। ভবনটির সামনে দিয়ে চলাচল করা পথচারীরা এখনো আগুনের ভয়াবহতার চিহ্ন দেখেন অপলক দৃষ্টিতে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এতো মানুষ মরত না’

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

বেইলী রোডে গ্রিন কোজি কটেজে যদি আগুন লাগার আগে সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো তাহলে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটত না। কিন্তু এখন আগুন লাগার পর এত নিরাপত্তা কেন।

কথাগুলো বলেছেন বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যাওয়া শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিনের বাবা আবুল কাশেম। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বেইলী রোডে গ্রিন কোজি কটেজের সামনে আসেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিল স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে।

আবুল কাশেম বলেন, আমি কোথাও শান্তি পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে বললাম, আমাকে বেইলী রোডে নিয়ে যাও। আমি এখানে এসে ভেতরে ঢুকতে চাইছিলাম। ঢুকতে দিল না। এখন এত নিরাপত্তা, কিন্তু আগে যদি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হতো তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না আর এত মানুষও মারা যেত না। তিনি বলেন, ঘটনার আগের দিন আমার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। তারপর আর কোনো কথা হয়নি।

শাহজালালের বোন তসলিমা আক্তার লিমা বলেন, যার চলে যায় সেই বোঝে। আর কেউ বুঝবে না এটা। এটা অনেক কষ্টের। মনে হয়, আমার ভাই আসবে। এই মনে হয় দাঁড়িয়ে আছে, মনে হয় ফোন করবে। ফোনের মধ্যে চেয়ে থাকি কখন যে আমার ভাই ফোন করবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কাছে একটাই চাওয়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। এরকম যেন আর কেউ স্বজন না হারায়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন মারা যায়। এই ঘটনায় নিহত হন শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা জাহান ও তাদের তিন বছর বয়সি সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা। এদিকে গতকাল (রোববার) সকালেও ভবনটির সামনে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায় নিরাপত্তার দায়িত্বে। ভবনটির সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে রাখা হয়েছে। ভবনটির সামনে দিয়ে চলাচল করা পথচারীরা এখনো আগুনের ভয়াবহতার চিহ্ন দেখেন অপলক দৃষ্টিতে।