পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজধানীবাসী। শেষ হয়েছে রেলের অগ্রীম টিকিট বিক্রি। রেলের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা গেলেও এখনও সাড়া পড়েনি বাস ও লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে। গতকাল সোমবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় অগ্রিম টিকিটের জন্য নেই চিরচেনা ভিড়। সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রেনের টিকিট বিক্রি শেষ হলে বাস ও লঞ্চে চাহিদা তৈরি হবে প্রত্যাশা ছিল তাদের। তবে এখনও কাক্সিক্ষত সাড়া নেই যাত্রীদের।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার কর্মী হাসান বলেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে না এমন না, কিছু টিকিট ব্রিক্রি হচ্ছে প্রতিদিনই। তবে রোজার শুরু থেকে যেভাবে টিকিটের চাহিদা তৈরি হয়, এবার তেমন নেই। আশা করছিলাম ট্রেনের টিকিট বিক্রি শেষে বাসের টিকিট বিক্রি বাড়বে। এখন ঈদের ১০ দিন বাকি। সামনে টিকিট বিক্রি হবে আশা করছি। এখনতো যাতায়াত সহজ। তাই মানুষেরও টিকিট নিয়ে আগ্রহ কমেছে। যারা যাবেন তারা এসেও টিকিট পাবেন এমনটাই হয়তো মনে করছেন।
সদরঘাটে আওলাদ লঞ্চের স্টাফ রশিদুল বলেন, কেবিনতো এখন ঘাটে আসলেই পাওয়া যায়। একারণে কেউ অগ্রিম টিকিট নিতে আসনে না। তবে কিছু মানুষ কাক্সিক্ষত কেবিন পেতে বা ঝুট-ঝামেলা এড়াতে আগে থেকে কেবিন নিয়ে রাখেন। কিছু কেবিন বিক্রি হচ্ছে। আর ঈদযাত্রা শুরু হলে কেবিন একটাও ফাঁকা থাকবে না।
ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি : এবারের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঠেকাতে ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিবৃতিতে বিলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিংয়ের দুর্বলতা ও কিছু অসাধু পরিবহন মালিক বেশি মুনাফার আশায় ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক ও লঞ্চ ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনের জন্য পথে নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। এমন খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গুটিকয়েক অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে ম্যানেজ করে এসব যানবাহন প্রতি বছর ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে থাকে। এছাড়াও বাস ও লঞ্চে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে নিম্নআয়ের লোকজন কম ভাড়ায় যাতায়াতের আশায় এসব ফিটনেসবিহীন বাস, লঞ্চ ও পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হতে বাধ্য হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঈদে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এবারের ঈদযাত্রা বহরে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।






















