◾আতঙ্কে পাহাড়ি জনপদের মানুষ, যান চলাচল বন্ধ
◾স্বশাসিত পরিষদ চায় কেএনএফ
◾ প্রধান সমন্বয়কসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার, আত্মগোপনে অন্যরা
◾ কম্বিং অপারেশন শুরু, অস্ত্র-সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার : সেনাপ্রধান
◾ কেএনএফ’র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু : আইজিপি
◾ এ হামলার পেছনে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে জঙ্গিদের আস্তানা গড়া ও প্রশিক্ষণে সহায়তা দেওয়ায় গত বছর ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এরপরই সশস্ত্র এ সংগঠনটির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। এতে তাদের হাতে প্রাণ হারান সেনা সদস্যসহ কয়েকজন। তবে গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা আর থানচিতে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় বড় ধরনের হামলা-অপহরণ ও থানচি বাজার সশস্ত্র অবস্থায় ঘিরে তাণ্ডব চালানোয় নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে পাহাড়ের গহিন অরণ্যে গড়ে ওঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। তাদের সশস্ত্র কর্মকাণ্ডে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রুমা ও থানচির বিস্তীর্ণ জনপদে। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের সব ধরনের যানবাহন চলাচল। ঈদের আগে হঠাৎ করেই পাহাড়ি জনপদে এমন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্ত্রের মহড়া আর যৌথবাহিনীর অভিযানে দিন কিংবা রাতের বেলা থেমে থেমে বিকট কোনো শব্দ হলেই আঁতকে উঠছে মানুষ। সেনাপ্রধান বলেছেন, যৌথবাহিনীর অভিযানে এরই মধ্যে ধরা পড়েছে প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বম। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র। সন্ত্রাসীদের ধরতে এরই মধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হলেও তাদের গতিবিধি অনুসরণে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীন রাষ্ট্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ; যা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। শান্তি আলোচনার পরও হঠাৎ করেই তাদের বেপরোয়া হয়ে ওঠার পেছনে কেউ বা কোনো বিশেষ মহল ইন্ধন যোগাচ্ছে। পুলিশ প্রধান বলেছেন, কুকি-চিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা নাথান বমের হাত ধরে ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বঘোষিত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি জনপদে এ গোষ্ঠীর আত্মপ্রকাশ ঘটে। তখন থেকেই এদের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা নিজেদের দেশের আইন ও সার্বভৌমত্ব মেনে অধিকার আদায়ের দাবিতে আন্দোলন করলে কেএনএফের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড ও তৎপরতা দিন দিন পাহাড়ের জননিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন স্থানীয় সাধারণ জনগণ, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী, সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও। কেএনএফ বলছে, তারা সুবিধাবঞ্চিত কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বশাসিত বা পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনসহ একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল চাইলেও স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কিন্তু তাদের কল্পিত রাজ্য সীমানা, নিজস্ব ম্যাপ, পতাকা ও অভিলক্ষ্য বিশ্লেষণ করে দেশের নিরাপত্ত বিশ্লেষকরা বারবার শঙ্কার কথা জানান। একাধিক সংবাদ মাধ্যমেও উঠে আসে তাদের ভয়ংকর সব কর্মতৎপরতার তথ্য। ২০২৩ সালের ১৬ মে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কেএনএফ’র সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলিতে সেনাবাহিনীর দুজন সৈনিক নিহত ও দুই অফিসার আহত হন। ওই ঘটনার পর দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি জনপদে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর তৎপরতা দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন তোলে। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় কুকি জনগোষ্ঠীর ২৭০ জন ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যায়। ওই বছরের জুনে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করে সশস্ত্র এ গোষ্ঠী। মূলত সেনাবাহিনীর ওই অভিযানের ক্ষত থেকে ‘কেএনএ’ পাল্টা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় দুই সেনা সদস্যকে হত্যার মধ্য দিয়ে। আগের বছরের সেনা অভিযানের রেশ চলতে থাকে গেল বছরেও। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে র্যাবের সঙ্গে কেএনএফের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সে সময় জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার ১৭ জন কর্মী এবং কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জামাআতুল আনসার অস্ত্রের বিনিময়ে কেএনএফের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সহায়তা নিচ্ছিল বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরবর্তীতে সংঘাত বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কেএনএফের শান্তি আলোচনা শুরু হয় গত বছরের ১৯ জুলাই। দুদফা ভার্চুয়াল আলোচনার পর গত বছরের ৫ নভেম্বর ও চলতি বছরের ৫ মার্চ বৈঠক হয় সরাসরি। তাতে সংগঠনটি সাত দফা দাবিনামা দেয়। প্রতিশ্রুতি দেয় আপাতত সন্ত্রাসে না জড়ানোর। কিন্তু সেটি ভেঙে সংগঠনটি হঠাৎ সহিংসতার পথে পা বাড়ানোয় তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। এরই মধ্যে গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এসময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর তারা থানচি বাজার সশস্ত্র অবস্থায় ঘিরে ফেলে। তখন থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচিসহ আশপাশের দুর্গম পাহাড়ি জনপদ। এরপর র্যাবের কৌশলী তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে। ওই ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় এ পর্যন্ত ৮টি মামলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পাহাড়ি জনপদে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূলে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে সেনা তত্ত্বাবধানে কম্বিং অপারেশন শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এদিকে বান্দরবানে পাহাড়ি জনপদে দুপুর কিংবা রাত, বিকট শব্দ হলেই কেঁপে উঠছে মানুষ। এমনই আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন রুমা ও থানচির কয়েকজন ব্যবসায়ী। সন্ধ্যা না হতেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে রুমা-থানচি বাজারের সব দোকানপাট। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের সব যানবাহন চলাচল।
রুমা বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম (ছদ্মনাম) জানান, গত ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় রুমার মসজিদে হামলা করে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে একদল সন্ত্রাসী। এই ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মনে। ফলে আগে যেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতেন বাজারের সবাই, এখন সন্ধ্যা সাত থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে সবাই দোকান বন্ধ করে ফেলেন। থানচি বাজারের ব্যবসায়ী পলাশ ও সুজন দাশ জানান, ৩ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায় সোনালী-কৃষি ব্যাংক লুট, ৪ এপ্রিল রাত ৮টায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বাজার ও হাসপাতাল এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গোলাগুলির ঘটনায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে থানচিবাসীর। গত ৫ এপ্রিল থেকে বিজিবি টহল জোরদার করলেও সব মিলে চাপা আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তাদের মন থেকে।
থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দীন জানান, বর্তমান পরিস্থিতি স্বভাবিক থাকলেও দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া আছে। এ বিষয়ে জানতে রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাজাহান জানান, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশের। অপরাধী ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, রুমার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, পুলিশ ও আনসার এবং থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা এবং দুটির পুলিশ বাদী। তবে এখন পর্যন্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, এখানে চিন্তার বিষয় হচ্ছে যে, শান্তি আলোচনা যেন না হয় সে কারণে বাইরে থেকে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কি না। আরো একটি প্রশ্ন হলো, এই মোবাইলের যুগেও দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতির সময় সেখানে থাকা কেউ কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি?। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু বলেন, এমন হামলা অনেকটাই রুদ্ধ করে দিয়েছে আলোচনার পথ। তিনি বলেন, শান্তি আলোচনা চলাকালে যখন সরকার আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেক বিষয় শিথিল করেছে, এর সুযোগেই তারা বড় বড় ২ থেকে ৩টি ঘটনা ঘটিয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল যে শান্তি সংলাপ হওয়ার কথা তা বাতিল করে দিয়েছি। যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে গ্রেপ্তার এড়াতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অনেকেই আত্মগোপনে থেকে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল রোববার সকালে বান্দরবান পৌঁছে বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। দুপুরের দিকে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বান্দরবানে ব্যাংক-অস্ত্র লুট, মসজিদে হামলা ও অপহরণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৬ এপ্রিল রাত থেকে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে দুটি অস্ত্র ও কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথবাহিনীর অভিযান চলবে। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়। কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবে না, কিন্তু সুফল ভোগ করবে।
এদিকে গতকাল বিকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তিনি জানান, বান্দরবান জেলার মধ্যে প্রথম কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠন করা হয়েছিল। যেখান থেকে যাত্রা শুরু করে ধীরে ধীরে কেএনএফ বর্তমান অবস্থায় পৌঁছায়। সেই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক ছিলেন চেওসিম বম। তার বাড়িতে বসেই নাথান বম ও জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের জঙ্গি প্রশিক্ষণের চুক্তি হয়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফের জন্য সে টাকা সংগ্রহ করে আসছিল। আজ ভোরে সুয়ালক এলাকার একতলা একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে ঘরের গোপন চৌকাট বক্স থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুটি এয়ার গান জব্দ করা হয়।
অপরদিকে গতকাল দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, বান্দরবানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন সম্প্রতি যে আক্রমণ করেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সবাই মিলে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে কার্যক্রম চালাচ্ছি। এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, কুকি-চিনের বিরুদ্ধে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। এখন আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা নেই।























