নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাড়ি দখলের ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এটি ঘটেছে শহরের মুন্সিপাড়ার তেজপাতা গাছ এলাকায়। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে পাঁচ জন। এরা হলেন ইমরানুল হক রাজু, সীমা সরকার, আলফা খাতুন, মোঃ রেজা ও ফাইয়াজুল হক সাজু।
আহতরা সকলেই সৈয়দপুর ১০০শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত পুলিশকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। পুলিশের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান পরিস্থিতির আর যেন অবনতি না ঘটে সেজন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়।
ষাটার্ধ গৃহবধু জরিনা খাতুন জানান এদিন দুপুর বেলা আমাদের বাড়ির পুরুষ সদস্যরা ব্যবসার কাজে বাজারে অবস্থান করছিল। বাড়ির মহিলা সদস্যরা নিচ্ছিল রান্নার প্রস্তুতি। এমন সুযোগে প্রতিবেশি সম্পাদক জুয়েল সরকার ও তার ভাড়াটে ২০/২৫ জন নারী পুরুষ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে ঢুকে বাড়ি দখলের পায়তারা করছিল। এমন অবস্থায় বাড়ির মহিলারা বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা আমাদের এলোপাথাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে সীমা সরকার ও আলফা খাতুন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে এসে ঘটনার বিষয়ে প্রতিপক্ষ জুয়েল সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বাড়ি তাদের বাড়ি বলে দাবি করে এবং দখল ছাড়ার জোর হুমকি দেয়। তার এ কথার প্রতিবাদ করলে আবারো সংঘর্ষ বাধে। এ সময় জুয়েল সরকার ও তার বাহিনীর মারপিটে ইমরানুল হক রাজু, মোঃ রেজা ও ফাইয়াজুল হক সাজুসহ পাঁচ জন আহত হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে । এর পর তারা তাদের নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
বাড়ি মালিক ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ি ফাইয়াজুল হক সাজু বলেন বাড়ির বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রতি জুয়েল সরকার ও তার পরিবারের সংগে বিবাদ চলে আসছে। আমি বিষয়টির সঠিক বিচার পেতে আদালতের দারস্থ হই। আদালত দোতরফা শুনানি শেষে অপরপক্ষের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তার পরেও জুয়েল সরকার প্রভাব খাটিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ( গত ২২ এপ্রিল) বাড়ি দখলের চেষ্টা চালায়।
এদিকে প্রতিপক্ষ জুয়েল সরকারের মন্তব্য জানতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য মিলেনি। তবে তার নিকট আত্নীয় বলে পরিচিত কয়েকজন জানান জুয়েল সরকারদের বাড়ি অপরপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছে। আজ সেখানে দরজার কাজ করতে গেলে অন্যপক্ষ বাধা দেয়,























