রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে বাড়ি ফেরার পথে সৈয়দ আলী আজম (৫৭) নামে এক ব্যক্তিকে হকিস্টিক দিয়ে মাথায় আঘাত করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ি গ্রামের দরগার পাশে জহুরের বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত সৈয়দ আলী আজম দক্ষিণবাড়ি গ্রামের সৈয়দ মোখলেসুর রহমানের ছেলে। আহত অবস্থায় তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আলী আজম বলেন, আমি বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের আনারস প্রতীকে ভোট চেয়ে রামদিয়া ব্রিজ ঘাট এলাকা থেকে মোটরসাইকেল নিযে বাড়ি ফিরছিলাম। পথে দক্ষিণবাড়ি দরগার পাশে জহুরের বাড়ির সামনে পৌঁছালে এহসানুল হাকিম সাধনের মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক নবাবপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জীবন ও তার সহযোগী মনিরসহ ৩ জন পিছন থেকে মোটরসাইকেলযোগে এসে আমার মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। আমি বুঝতে পেরে মাথা সরিয়ে নিলে মাথার পেছনে ও ডান চোখের নিচে কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদের পক্ষে নির্বাচন করায় ইতিপূর্বে জীবন আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। তারই অংশ হিসেবে এ হামলা।
আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিকেল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সৈয়দ আলী আজম আমার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারনায় ছিল। প্রচারনা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এহসানুল হাকিম সাধনের সন্ত্রাসী বাহিনী আলী আজমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে এর আগেও তারা আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হামলার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এছাড়া হাসপাতালে গিয়েও আহত ব্যক্তিকে দেখেছি এবং তার সঙ্গে কথা বলেছি। তার মাথায় একটি সেলাই লেগেছে। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করবেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।























