০২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুপুর থেকে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে। যা বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

রবিবার (২৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ। তিনি জানান, এখন স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। তবে আজ (রবিবার) বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে।

এদিকে, আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪শ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এরপর সাড়ে ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করে সর ধরনের অপারেশনাল কাজ বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক। এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ১১৪০টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম কর্তৃক ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, আর্বান ডিসপেন্সারি ৯টি এবং ৫টি জেনারেল হাসপাতালসহ মোট ২৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রায় তিন লাখ ট্যাবলেট ও চার লাখ খাবার স্যালাইন মজুত রয়েছে।

এছাড়া, ৯টি স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে ২৭০ জনকে প্রস্তুত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। পাশাপাশি নগরের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে চালু করেছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুপুর থেকে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে। যা বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

রবিবার (২৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ। তিনি জানান, এখন স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। তবে আজ (রবিবার) বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে।

এদিকে, আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪শ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এরপর সাড়ে ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করে সর ধরনের অপারেশনাল কাজ বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি জরুরি কন্ট্রোল রুম চালু করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক। এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ১১৪০টি বিদ্যালয় ও নয়টি মুজিব কেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম কর্তৃক ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, আর্বান ডিসপেন্সারি ৯টি এবং ৫টি জেনারেল হাসপাতালসহ মোট ২৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রায় তিন লাখ ট্যাবলেট ও চার লাখ খাবার স্যালাইন মজুত রয়েছে।

এছাড়া, ৯টি স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে ২৭০ জনকে প্রস্তুত রেখেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। পাশাপাশি নগরের আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে চালু করেছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে জরুরি কন্ট্রোল রুম।