০২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কমিটিতে না থাকলেও সাক্ষাৎকার বৈঠকে উপসচিব

 মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের বর্তমান সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তদন্ত কমিটি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় এ বৈঠকে বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের উপস্থিতিকে বিব্রত হয়েছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা। এ নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে সঠিক তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

 

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, বোর্ডের বর্তমান সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিষয়ে তদন্ত করতে ঢাকা থেকে কর্মকর্তারা এসেছেন। কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে কথা বলবেন বলে আমরা জেনেছি। সে হিসেবে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। আমরা তদন্ত কর্মকর্তার রুমে গিয়ে দেখি সেখানে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেনও বসে আছেন। তিনি তদন্ত কমিটির কেউ নন। এমন একজন কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রমে উপস্থিত থাকায় একদিকে যেমন তদন্ত কর্মকর্তারা প্রভাবিত হতে পারেন, তেমনি সাক্ষাৎকার দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। সোমবার (৩ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সম্মেলন কক্ষে বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেকে কথা বলেন তদন্ত কমিটির দুই সদস্য।

 

 

প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বর্তমান সচিব প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তবে তিনি একটি বিষয়ে জিপিএ-৫ নসা পেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পরিবার উক্ত বিষয় পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে চান কিন্তু পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে দেখতে পান, কে বা কারা আগেই নক্ষত্র দেব নাথের ছয় বিষয়ের ১২টি পত্রের পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সচিবের স্ত্রী বনশ্রী নাথ পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনকারীকে শনাক্ত ও আইনি প্রতিকার চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক আবদুল আলীমের মোবাইল ফোন নম্বর রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে নক্ষত্র দেব নাথের নামে ১২ টি বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনটি করা হয়েছিল উল্লেখ করে গত ১৫ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এই ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব আবদুল আলীম ও চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বোর্ডের বর্তমান সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী দেবনাথ।

 

 

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) করা তদন্ত কমিটির তিন সদস্যের দুইজন সোমবার (৩ জুন) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে আসেন। তারা হলেন, কমিটির আহ্বায়ক মাউশির মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন এবং সদস্য মাউশির ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান।

 

 

তদন্ত কমিটির দুই সদস্য যখন সকাল থেকে বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া শুরু করেন তখন থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের উপসচিব বেলাল হোসেন। বিকেল ৪ টার সময় দৈনিক সবুজ বাংলার এ প্রতিনিধি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে গেলে পাশের সম্মেলন কক্ষে বেলাল হোসেনকে তদন্ত কমিটির সদস্যদের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। অবশ্য সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বেলাল হোসেন সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে আধাঘণ্টা পর সাংবাদিকেরা শিক্ষা বোর্ড ছাড়লে তিনি ফের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন বলে জানা গেছে। বোর্ডের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা জানান, তদন্ত কমিটির ডাকে আমরা উপস্থিত হয়ে জানতে চাওয়া বিষয়গুলোর উত্তর দিয়েছি। সেখানে বোর্ডের আরেকজন কর্মকর্তা থাকা তো আমাদের জন্য বিব্রতকর। তিনি (উপসচিব) তদন্ত কমিটির সদস্য না হয়ে কীভাবে সেখানে উপস্থিত থেকেছেন সেটি আমরা জানি না’।

 

 

 

চট্টগ্রাম বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) মোহাম্মদ দিদারুল আলম তদন্ত কমিটির ডাকে কথা বলতে গিয়ে উপসচিব বেলাল হোসেনকে দেখে বিব্রত হয়েছেন। তিনি কমিটিকে বলেছেন, তিনি (বেলাল হোসেন) থাকলে আমি কথা বলতে পারবো না। পরে তিনি বেলাল হোসেন) কক্ষের বাইরে চলে দিদারুল আলম তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। অপর দিকে বোর্ডের বর্তমান সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথও তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় উপসচিব বেলাল হোসেনের উপস্থিত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, কমিটিকে সহযোগিতা করার জন্য বোর্ডের চার কর্মকর্তাকে আমি দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই চারজনের একজন উপসচিব বেলাল হোসেন।

 

 

তিনি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করছেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মাউশির মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে উপসচিব মো. বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি কমিটির সদস্য হিসাবে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে মাউশি চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গাজী গোলাম মাওলা বলেন, তদন্ত চলাকালীন সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তদন্ত কমিটির সদস্য ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত থাকা সমীচীন নয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কমিটিতে না থাকলেও সাক্ষাৎকার বৈঠকে উপসচিব

আপডেট সময় : ০৫:২৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

 মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের বর্তমান সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তের বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তদন্ত কমিটি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় এ বৈঠকে বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেনের উপস্থিতিকে বিব্রত হয়েছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা। এ নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে সঠিক তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

 

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, বোর্ডের বর্তমান সচিব অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের বিষয়ে তদন্ত করতে ঢাকা থেকে কর্মকর্তারা এসেছেন। কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সাথে কথা বলবেন বলে আমরা জেনেছি। সে হিসেবে আমরা প্রস্তুত ছিলাম। আমরা তদন্ত কর্মকর্তার রুমে গিয়ে দেখি সেখানে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বোর্ডের উপসচিব মোহাম্মদ বেলাল হোসেনও বসে আছেন। তিনি তদন্ত কমিটির কেউ নন। এমন একজন কর্মকর্তা তদন্ত কার্যক্রমে উপস্থিত থাকায় একদিকে যেমন তদন্ত কর্মকর্তারা প্রভাবিত হতে পারেন, তেমনি সাক্ষাৎকার দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। সোমবার (৩ জুন) সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সম্মেলন কক্ষে বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেকে কথা বলেন তদন্ত কমিটির দুই সদস্য।

 

 

প্রসঙ্গত চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বর্তমান সচিব প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তবে তিনি একটি বিষয়ে জিপিএ-৫ নসা পেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পরিবার উক্ত বিষয় পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে চান কিন্তু পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে দেখতে পান, কে বা কারা আগেই নক্ষত্র দেব নাথের ছয় বিষয়ের ১২টি পত্রের পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সচিবের স্ত্রী বনশ্রী নাথ পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনকারীকে শনাক্ত ও আইনি প্রতিকার চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক আবদুল আলীমের মোবাইল ফোন নম্বর রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে নক্ষত্র দেব নাথের নামে ১২ টি বিষয়ে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদনটি করা হয়েছিল উল্লেখ করে গত ১৫ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এই ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব আবদুল আলীম ও চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন বোর্ডের বর্তমান সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী দেবনাথ।

 

 

এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) করা তদন্ত কমিটির তিন সদস্যের দুইজন সোমবার (৩ জুন) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে আসেন। তারা হলেন, কমিটির আহ্বায়ক মাউশির মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেন এবং সদস্য মাউশির ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট খন্দকার আজিজুর রহমান।

 

 

তদন্ত কমিটির দুই সদস্য যখন সকাল থেকে বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া শুরু করেন তখন থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের উপসচিব বেলাল হোসেন। বিকেল ৪ টার সময় দৈনিক সবুজ বাংলার এ প্রতিনিধি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে গেলে পাশের সম্মেলন কক্ষে বেলাল হোসেনকে তদন্ত কমিটির সদস্যদের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। অবশ্য সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে বেলাল হোসেন সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে আধাঘণ্টা পর সাংবাদিকেরা শিক্ষা বোর্ড ছাড়লে তিনি ফের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন বলে জানা গেছে। বোর্ডের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা জানান, তদন্ত কমিটির ডাকে আমরা উপস্থিত হয়ে জানতে চাওয়া বিষয়গুলোর উত্তর দিয়েছি। সেখানে বোর্ডের আরেকজন কর্মকর্তা থাকা তো আমাদের জন্য বিব্রতকর। তিনি (উপসচিব) তদন্ত কমিটির সদস্য না হয়ে কীভাবে সেখানে উপস্থিত থেকেছেন সেটি আমরা জানি না’।

 

 

 

চট্টগ্রাম বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) মোহাম্মদ দিদারুল আলম তদন্ত কমিটির ডাকে কথা বলতে গিয়ে উপসচিব বেলাল হোসেনকে দেখে বিব্রত হয়েছেন। তিনি কমিটিকে বলেছেন, তিনি (বেলাল হোসেন) থাকলে আমি কথা বলতে পারবো না। পরে তিনি বেলাল হোসেন) কক্ষের বাইরে চলে দিদারুল আলম তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। অপর দিকে বোর্ডের বর্তমান সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথও তদন্ত কমিটির সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় উপসচিব বেলাল হোসেনের উপস্থিত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, কমিটিকে সহযোগিতা করার জন্য বোর্ডের চার কর্মকর্তাকে আমি দায়িত্ব দিয়েছিলাম। সেই চারজনের একজন উপসচিব বেলাল হোসেন।

 

 

তিনি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা করছেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মাউশির মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক মো. আমির হোসেনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে উপসচিব মো. বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি কমিটির সদস্য হিসাবে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে মাউশি চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক গাজী গোলাম মাওলা বলেন, তদন্ত চলাকালীন সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তদন্ত কমিটির সদস্য ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত থাকা সমীচীন নয়।