মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত এস্কেভটর যায় পায়ের উপর দিয়ে। এতে পায়ের পাতা যায় থেতলে।তিন দিনের ভেতর পচন ধরে তাতে। বিশ দিনের ভেতর হাঁটু থেকে পা কাটা পড়ে চির পঙ্গুত্ব ঘটে আমিনুল হকের।
গত ৪ আগষ্ট রাতে মনোহরদীর হাতিরদীয়া বাজারে রাস্তা উন্নয়ন ও ড্রেন নির্মানে এস্কেভেটর দিয়ে কাজ চলছিলো।সে সময় এক কাজে সেখানে হাতিরদীয়া বাজারে যান সৈয়দপুর গ্রামের আমিনুল হক আমিন (৬৫)।তিনি জানান,দুর্ঘটনাক্রমে সে সময় সেখানে কর্মরত এস্কেভেটরটি তার পায়ের উপরে উঠে যায়।এতে তার পায়ের পাতা থেতলে গিয়ে মারাত্মক আহত হন তিনি।ততক্ষনণাৎ তাকে মনোহরদীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।তিনদিনের ভেতর তার পায়ে পচন ধরে। এ অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় তাকে।এরই এক পর্যায়ে গত ২৪ আগষ্ট তার ডান পায়ের হাঁটু থেকে কেটে ফেলে দিতে হয়েছে।এতে পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম আমিনের চির পঙ্গুত্ব লাভ হয়।এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনডিই এর প্রোজেক্ট ম্যানেজার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিষয়টি নিয়ে একদুয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে বসা হয়েছে।সেখানে পরবর্তী করণীয় নির্ধারনের জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে একদুয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা রফিকুল ইসলাম ফারুক জানান,তারা এ নিয়ে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোজেক্ট ম্যানেজারকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।সেখানে আহত আমিনুল হককে মানবিক সহায়তার আলোচনা হলেও এখনো পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না।

























