০৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে : সিনিয়র শিল্প সচিব

শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। গতকাল সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রি : চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়নে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বিদ্যমান কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব আরও ৩টি সিইটিপি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ট্যানারিগুলোর লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সনদ প্রাপ্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আশানুরূপ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. আবদুল হালিম। মূল প্রবন্ধকার বলেন, ১৯৪০-এর দশকে এদেশে প্রথম চামড়া শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। তিনি আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব ও প্রতিযোগিতামূলক চামড়া শিল্পখাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯ প্রণীত হয়। কিন্তু নানাবিধ কারণে এটি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকসসহ এ খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

কর্মশালায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মো. শামীমুল হক প্রমুখ। কর্মশালায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা; এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস এবং ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি ও বিভিন্ন ট্যানারির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা অংশগ্রহণ করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জকসু ভোটের পরিবর্তিত তারিখ ৬ জানুয়ারি

চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে : সিনিয়র শিল্প সচিব

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। গতকাল সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রি : চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়নে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বিদ্যমান কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব আরও ৩টি সিইটিপি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ট্যানারিগুলোর লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সনদ প্রাপ্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আশানুরূপ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. আবদুল হালিম। মূল প্রবন্ধকার বলেন, ১৯৪০-এর দশকে এদেশে প্রথম চামড়া শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। তিনি আরও বলেন, পরিবেশবান্ধব ও প্রতিযোগিতামূলক চামড়া শিল্পখাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯ প্রণীত হয়। কিন্তু নানাবিধ কারণে এটি কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকসসহ এ খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

কর্মশালায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মো. শামীমুল হক প্রমুখ। কর্মশালায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা; এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস এবং ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি ও বিভিন্ন ট্যানারির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা অংশগ্রহণ করেন।