সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে বাড়ছে পর্যটক। বিশেষ করে, সাজেক ও সেন্টর্মাটিনে সীমিত পর্যটকের কারণ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঢল নামছে কক্সবাজারে। পর্যটকদের নোনাজলে উষ্ণতার খোঁজার পাশাপাশি কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বার্মিজ পণ্য ও শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোতে।
তবে সৈকতের প্রবেশদ্বারগুলোতে গাড়ি পার্কিং, বালিয়াড়িতে ঝুপড়ি দোকান, টায়ার টিউব, কিটকিট ছাতা চেয়ার যত্রতত্র অব্যবস্হাপনা, ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম্যে হতাশ পর্যটকরা।
১৩, ১৪ ডিসেম্বর, শুক্রবার ও শনিবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। রবিবার একদিন বাদ গেলেও সোমবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সরকারি ছুটি থাকায়, টানা ছুটিতে সাগরপাড়ে কয়েকগুণে বেড়েছে মানুষের ভিড়। থার্টিফার্স্ট নাইট, ইংরেজি নববর্ষ বরণ ও পর্যটকদের মনোযোগ আর্কষনে বিভিন্ন হোটেল মোটেল, রেষ্টুরেন্টে বিশেষ আয়োজনে বস্ত ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রচুর পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। কোন হোটেল কক্ষ খালি নেই, থার্টিফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ নিয়ে জানুয়ারির পযন্ত বুকিং হয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। আশা করছি বিগত সময়ের ব্যবসায়িক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ মালিকরা।
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, সরজমিন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে ইনানী বিচ পযন্ত মুখরিত পর্যটকের আনন্দ আয়োজন
কেউ উষ্ণতার খুঁজে নামছেন নোনাজলে। মেতেছেন সমুদ্রস্নান, ওয়াটার বাইকে ঘুরে বেড়ানো ও সেলফিতে। শামুক ঝিনুকের রকমারি পণ্য, বার্মিজ আচার বাদাম সহ শখের কেনাকাটায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন দেশেএম জসিম উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার। র নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা দেশিয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটকও কমবেশি দেখা মিলছে।
ঢাকার উত্তরা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা খায়রুল আমিন বলেন, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা শেষ, শীত মৌসুমে উষ্ণতার খুঁজে কক্সবাজার সৈকতে ছুটে আসা। এখানে পরিবার নিয়ে খুবই বেশি মজা করছি।
আরেক পর্যটক রফিক আহমেদ বলেন, শীতকালে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত অনেক সুন্দর লাগে। প্রকৃতির ভিন্নরূপও দেখা মিলছে। আর ওয়াটার বাইকে করে নীল জলরাশি দেখতে যাবার মজাও আলাদা।
সিলেটের বাসিন্দা প্রবাসী আলাউদ্দিন খাঁ বলেন, দীর্ঘদিন পর পরিবার নিয়ে দেশে এসেছি ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম ও পরিচিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসে হতাশ হয়েছি এখানে নেই কোন ব্যবস্তাপনা, বিনোদনের নতুন কিছু নেই। চেয়ার ছাতায় ভরা সৈকতের বালিয়াড়ি, বিচের প্রবশ মুখে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। খানাখন্দভরা, অপরিষ্কার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কোন লক্ষ্য নেই। যে বিশ বছর আগে এসেছি এখনো তা। বলতে গেলে কিছু হোটেল মোটেল ছাড়া তেমন বিচ নিয়ে উন্নয়ন হয়নি। কক্সবাজার বিচকে মাস্টার প্লানের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে পর্যটক আর্কষন করতে পারলে এই বিচ হতে পারে দেশের অন্যতম আয়ের উৎস।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের এসপি আবুল কালাম বলেন, অসংখ্য পর্যটকের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি আগামী থার্টিফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে।
























