০৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পবিপ্রবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও একাধিক বিয়ের অভিযোগ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন, একাধিক বিয়ে ও অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক রমন বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুষদের অধ্যাপক।
তার স্ত্রী শ্রাবন্তী বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, “২০১১ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই তিনি গোপনে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে আরও দুটি বিয়ে করেন এবং ছাত্রীসহ একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে মারধর করে আহত করেছেন। বর্তমানে তিনি আমাদের তিন সন্তান এবং আমাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছেন।” শ্রাবন্তী বিশ্বাস তার সন্তানদের ভরণপোষণ ও অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ আমরা আশা করি না। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।” এ বিষয়ে অধ্যাপক রমন বিশ্বাস বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাই না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।”
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেন খান বলেন, “আমার কাছেও কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।”
এমআর/সব

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনবাংলা সাহিত্য পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় নতুন কমিটি গঠন

পবিপ্রবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও একাধিক বিয়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন, একাধিক বিয়ে ও অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক রমন বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুষদের অধ্যাপক।
তার স্ত্রী শ্রাবন্তী বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, “২০১১ সালে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই তিনি গোপনে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে আরও দুটি বিয়ে করেন এবং ছাত্রীসহ একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিভিন্ন সময়ে আমাকে মারধর করে আহত করেছেন। বর্তমানে তিনি আমাদের তিন সন্তান এবং আমাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছেন।” শ্রাবন্তী বিশ্বাস তার সন্তানদের ভরণপোষণ ও অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ আমরা আশা করি না। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়।” এ বিষয়ে অধ্যাপক রমন বিশ্বাস বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাই না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, “আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।”
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেন খান বলেন, “আমার কাছেও কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।”
এমআর/সব