০৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমালোচিত থেকে সফল : বাটলার ও ইতিহাস গড়া সেইসব কোচরা

  • রুমেল খান
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • 213

সফলতা সবসময় সরল পথে আসে না। অনেক সময় তীব্র সমালোচনার মাঝ দিয়েই তা অর্জিত হয়। বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের সাম্প্রতিক সাফল্য সেই সত্যটিকেই যেন আবারও প্রমাণ করলো। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়ে তিনি যেমন ইতিহাস গড়েছেন, তেমনি কণ্ঠরোধ করেছেন নিন্দুকদের। তবে বাটলার একা নন, ইতিহাসে এমন অনেক কোচ ছিলেন, যাদের যাত্রাপথও ছিল কণ্টকাকীর্ণ—কিন্তু শেষটা হয়েছিল জয়ের মুকুটে।

* লুইস ফিলিপে স্কলারি (ব্রাজিল, ২০০২ বিশ্বকাপ)

২০০১ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার পর স্কলারির প্রথম দিকে ফলাফল ছিল হতাশাজনক। কোপা আমেরিকায় ভরাডুবি ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সংগ্রামী পারফরম্যান্সের কারণে মিডিয়া ও সমর্থকদের কঠোর সমালোচনার শিকার হন। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন রোমারিওকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না রেখে। কিন্তু তিনি নিজের কৌশল ও দৃঢ়তায় অটল থেকে ২০০২ বিশ্বকাপে রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনহোদের নেতৃত্বে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানান। ৭ ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় তুলে এনে তিনি ব্রাজিলকে দিলেন পঞ্চম বিশ্বকাপ ট্রফি।

* লুইস সিজার মেনোত্তি (আর্জেন্টিনা, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ)

মেনোত্তি ছিলেন আক্রমণাত্মক ও সৌন্দর্যনির্ভর ফুটবলের প্রবক্তা। কিন্তু আর্জেন্টিনার সামরিক শাসনের সময় তার উদারপন্থী মনোভাব এবং খেলোয়াড় নির্বাচনে বিতর্ক তাকে সমালোচনার মুখে ফেলে। তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন ‘বয়স কম’ বলে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না রেখে। এমনকি তাকে ‘অপ্রস্তুত’ বলেও সমালোচিত করা হয়। মেনোত্তির উদার চিন্তা ও আক্রমণাত্মক কৌশল ছিল ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি সফল হতে পারবেন না। কিন্তু তিনিই প্রথমবার আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেন। কেম্পেসদের নিয়ে গড়ে তোলেন এক সৃজনশীল ও আক্রমণাত্মক দল।

* লিওনেল স্কালোনি (আর্জেন্টিনা, কোপা ২০২১, বিশ্বকাপ ২০২২)

স্কালোনির নিয়োগ অনেকটা হঠাৎ করেই হয়, সে সময় অনেকেই তাকে ‘অভিজ্ঞতাহীন’ ও ‘অস্থায়ী সমাধান’ বলেছিলেন। বিশেষ করে ডিয়েগো ম্যারাডোনা তো তাকে স্রেফ ধুয়েই দেন! বড় কোনো কোচিং অভিজ্ঞতা ছাড়াই আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেয়া স্কালোনিকে নিয়ে চলছিল টানা সমালোচনা। কিন্তু তিনি কিন্তু তিনি লিওনেলেমেসিকে সঙ্গে নিয়ে ধৈর্য, স্থিতিশীল স্কোয়াড গঠন ও খেলোয়াড়দের সাথে দুর্দান্ত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ধাপে ধাপে গড়েন একটি ভারসাম্যপূর্ণ, সংগঠিত ও আত্মবিশ্বাসী দল। ফলশ্রুতিতে দলকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা ও ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ এনে দেন। এবং নিজের নামটিও অমর করে ফেলেন স্কালোনি।

* জিনেদিন জিদান (রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৬-২০১৮)

খেলোয়াড় হিসেবে কিংবদন্তি হলেও কোচ হিসেবে জিদানের শুরু নিয়েও প্রশ্ন ছিল। অভিজ্ঞতা না থাকায় জিদানকে প্রথমে ভাবা হয়েছিল একজন ‘নিরীক্ষামূলক নিয়োগ’। রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাবের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে ‘গেম ম্যানেজার’ বলা হতো, কিন্তু তিনি টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করেন। ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে সাফল্যমণ্ডিত অধ্যায় তার হাত ধরেই লেখা হয়। রিয়ালকে এনে দেন স্বপ্নীল সাফল্য।

* দিদিয়ের দেশম (ফ্রান্স, বিশ্বকাপ ২০১৮)

দেশম ফ্রান্স দলকে অনেক সময় ‘রক্ষণাত্মক ও কার্যকরী, কিন্তু নান্দনিক নয়’ বলেও সমালোচিত করা হতো। তার রক্ষণাত্মক কৌশল অনেক সময় প্রশংসার চেয়ে বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু তিনিই সেই কোচ যিনি এমবাপেদের নেতৃত্বে ফ্রান্সকে ২০ বছর পর আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন। তার পরিকল্পনাই ফ্রান্সকে এনে দেয় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ। এমবাপে, গ্রিজমান, কন্তেদের নিখুঁত ব্যবহারে দেশম দেখিয়ে দেন—সুন্দর খেলার চেয়েও কার্যকর ফলাফল অনেক বেশি মূল্যবান।

* রাফায়েল বেনিতেজ (লিভারপুল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০০৫)

লিভারপুলে এসে বেনিতেজ অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন তার ডিফেন্সিভ ফুটবল নিয়ে। কিন্তু তিনি ২০০৫ সালে মিলানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচে লিভারপুলকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন বানান।

* ফার্নান্দো সান্তোস (পর্তুগাল, ইউরো ২০১৬)

সান্তোসের রক্ষণাত্মক ও নির্ভরশীল খেলা নিয়ে বহু সমালোচনা হয়। তবে তিনিই ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোদের নিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন করেন পর্তুগালকে।

* গ্যারেথ সাউথগেট (ইংল্যান্ড, ২০১৮ বিশ্বকাপ, ইউরো ২০২০)

অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রথমে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সাউথগেটের। কিন্তু তিনিই ইংল্যান্ডকে ২০১৮ সালে সেমিফাইনালে এবং ২০২০ ইউরোয় ফাইনালে নিয়ে যান।

উপসংহার

সমালোচনা ও প্রত্যাশার চাপ—এই দুইয়ের ভার অনেকেই বইতে পারেন না। কিন্তু পিটার বাটলার, স্কলারি, মেনোত্তি কিংবা স্কালোনির মতো কিছু কোচ সেই চাপে পিষে যাননি বরং আরও উজ্জ্বল হয়েছেন।
সমালোচনা থাকবেই—যখন আপনি দায়িত্ব নেবেন জাতীয় কোনো দলের, বড় কোনো ক্লাবের, কিংবা তৃপ্তির অভাব থাকা একটা জাতির ক্রীড়াগৌরব গড়ার। কিন্তু সময়ের সাথে সঙ্গে ধৈর্য, জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস থাকলে সেই সমালোচনাকে শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। পিটার বাটলার তার উজ্জ্বল উদাহরণ। ইতিহাসের পাতায় হয়তো এখন তার নাম সেই স্কলারি, মেনোত্তি বা স্কালোনির পাশে না থাকলেও, বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে তিনি নিশ্চিতভাবেই হয়ে উঠেছেন এক ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
এইসব উদাহরণ দেখায়, একজন কোচের প্রকৃত মূল্যায়ন সময়ের আগে করা যায় না। কখনো কখনো নিন্দা আর সন্দেহের ভেতর দিয়েই জন্ম নেয় ইতিহাসের অন্যতম সফল ফুটবল অধ্যায়—যেমনটি বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার করে দেখিয়েছেন।

আরকে/সবা

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

সমালোচিত থেকে সফল : বাটলার ও ইতিহাস গড়া সেইসব কোচরা

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

সফলতা সবসময় সরল পথে আসে না। অনেক সময় তীব্র সমালোচনার মাঝ দিয়েই তা অর্জিত হয়। বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের সাম্প্রতিক সাফল্য সেই সত্যটিকেই যেন আবারও প্রমাণ করলো। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়ে তিনি যেমন ইতিহাস গড়েছেন, তেমনি কণ্ঠরোধ করেছেন নিন্দুকদের। তবে বাটলার একা নন, ইতিহাসে এমন অনেক কোচ ছিলেন, যাদের যাত্রাপথও ছিল কণ্টকাকীর্ণ—কিন্তু শেষটা হয়েছিল জয়ের মুকুটে।

* লুইস ফিলিপে স্কলারি (ব্রাজিল, ২০০২ বিশ্বকাপ)

২০০১ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার পর স্কলারির প্রথম দিকে ফলাফল ছিল হতাশাজনক। কোপা আমেরিকায় ভরাডুবি ও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সংগ্রামী পারফরম্যান্সের কারণে মিডিয়া ও সমর্থকদের কঠোর সমালোচনার শিকার হন। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন রোমারিওকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না রেখে। কিন্তু তিনি নিজের কৌশল ও দৃঢ়তায় অটল থেকে ২০০২ বিশ্বকাপে রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনহোদের নেতৃত্বে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানান। ৭ ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় তুলে এনে তিনি ব্রাজিলকে দিলেন পঞ্চম বিশ্বকাপ ট্রফি।

* লুইস সিজার মেনোত্তি (আর্জেন্টিনা, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ)

মেনোত্তি ছিলেন আক্রমণাত্মক ও সৌন্দর্যনির্ভর ফুটবলের প্রবক্তা। কিন্তু আর্জেন্টিনার সামরিক শাসনের সময় তার উদারপন্থী মনোভাব এবং খেলোয়াড় নির্বাচনে বিতর্ক তাকে সমালোচনার মুখে ফেলে। তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন ‘বয়স কম’ বলে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে না রেখে। এমনকি তাকে ‘অপ্রস্তুত’ বলেও সমালোচিত করা হয়। মেনোত্তির উদার চিন্তা ও আক্রমণাত্মক কৌশল ছিল ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি সফল হতে পারবেন না। কিন্তু তিনিই প্রথমবার আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেন। কেম্পেসদের নিয়ে গড়ে তোলেন এক সৃজনশীল ও আক্রমণাত্মক দল।

* লিওনেল স্কালোনি (আর্জেন্টিনা, কোপা ২০২১, বিশ্বকাপ ২০২২)

স্কালোনির নিয়োগ অনেকটা হঠাৎ করেই হয়, সে সময় অনেকেই তাকে ‘অভিজ্ঞতাহীন’ ও ‘অস্থায়ী সমাধান’ বলেছিলেন। বিশেষ করে ডিয়েগো ম্যারাডোনা তো তাকে স্রেফ ধুয়েই দেন! বড় কোনো কোচিং অভিজ্ঞতা ছাড়াই আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নেয়া স্কালোনিকে নিয়ে চলছিল টানা সমালোচনা। কিন্তু তিনি কিন্তু তিনি লিওনেলেমেসিকে সঙ্গে নিয়ে ধৈর্য, স্থিতিশীল স্কোয়াড গঠন ও খেলোয়াড়দের সাথে দুর্দান্ত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ধাপে ধাপে গড়েন একটি ভারসাম্যপূর্ণ, সংগঠিত ও আত্মবিশ্বাসী দল। ফলশ্রুতিতে দলকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা ও ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ এনে দেন। এবং নিজের নামটিও অমর করে ফেলেন স্কালোনি।

* জিনেদিন জিদান (রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৬-২০১৮)

খেলোয়াড় হিসেবে কিংবদন্তি হলেও কোচ হিসেবে জিদানের শুরু নিয়েও প্রশ্ন ছিল। অভিজ্ঞতা না থাকায় জিদানকে প্রথমে ভাবা হয়েছিল একজন ‘নিরীক্ষামূলক নিয়োগ’। রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাবের দায়িত্ব পাওয়ার পর তাকে ‘গেম ম্যানেজার’ বলা হতো, কিন্তু তিনি টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করেন। ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে সাফল্যমণ্ডিত অধ্যায় তার হাত ধরেই লেখা হয়। রিয়ালকে এনে দেন স্বপ্নীল সাফল্য।

* দিদিয়ের দেশম (ফ্রান্স, বিশ্বকাপ ২০১৮)

দেশম ফ্রান্স দলকে অনেক সময় ‘রক্ষণাত্মক ও কার্যকরী, কিন্তু নান্দনিক নয়’ বলেও সমালোচিত করা হতো। তার রক্ষণাত্মক কৌশল অনেক সময় প্রশংসার চেয়ে বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু তিনিই সেই কোচ যিনি এমবাপেদের নেতৃত্বে ফ্রান্সকে ২০ বছর পর আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন। তার পরিকল্পনাই ফ্রান্সকে এনে দেয় ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ। এমবাপে, গ্রিজমান, কন্তেদের নিখুঁত ব্যবহারে দেশম দেখিয়ে দেন—সুন্দর খেলার চেয়েও কার্যকর ফলাফল অনেক বেশি মূল্যবান।

* রাফায়েল বেনিতেজ (লিভারপুল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০০৫)

লিভারপুলে এসে বেনিতেজ অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন তার ডিফেন্সিভ ফুটবল নিয়ে। কিন্তু তিনি ২০০৫ সালে মিলানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচে লিভারপুলকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন বানান।

* ফার্নান্দো সান্তোস (পর্তুগাল, ইউরো ২০১৬)

সান্তোসের রক্ষণাত্মক ও নির্ভরশীল খেলা নিয়ে বহু সমালোচনা হয়। তবে তিনিই ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোদের নিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন করেন পর্তুগালকে।

* গ্যারেথ সাউথগেট (ইংল্যান্ড, ২০১৮ বিশ্বকাপ, ইউরো ২০২০)

অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রথমে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সাউথগেটের। কিন্তু তিনিই ইংল্যান্ডকে ২০১৮ সালে সেমিফাইনালে এবং ২০২০ ইউরোয় ফাইনালে নিয়ে যান।

উপসংহার

সমালোচনা ও প্রত্যাশার চাপ—এই দুইয়ের ভার অনেকেই বইতে পারেন না। কিন্তু পিটার বাটলার, স্কলারি, মেনোত্তি কিংবা স্কালোনির মতো কিছু কোচ সেই চাপে পিষে যাননি বরং আরও উজ্জ্বল হয়েছেন।
সমালোচনা থাকবেই—যখন আপনি দায়িত্ব নেবেন জাতীয় কোনো দলের, বড় কোনো ক্লাবের, কিংবা তৃপ্তির অভাব থাকা একটা জাতির ক্রীড়াগৌরব গড়ার। কিন্তু সময়ের সাথে সঙ্গে ধৈর্য, জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস থাকলে সেই সমালোচনাকে শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। পিটার বাটলার তার উজ্জ্বল উদাহরণ। ইতিহাসের পাতায় হয়তো এখন তার নাম সেই স্কলারি, মেনোত্তি বা স্কালোনির পাশে না থাকলেও, বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে তিনি নিশ্চিতভাবেই হয়ে উঠেছেন এক ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
এইসব উদাহরণ দেখায়, একজন কোচের প্রকৃত মূল্যায়ন সময়ের আগে করা যায় না। কখনো কখনো নিন্দা আর সন্দেহের ভেতর দিয়েই জন্ম নেয় ইতিহাসের অন্যতম সফল ফুটবল অধ্যায়—যেমনটি বাংলাদেশ নারী দলের কোচ পিটার বাটলার করে দেখিয়েছেন।

আরকে/সবা