০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রাণে বাঁচলেও পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

জবি শিক্ষার্থীর উপর ছিনতাইকারীদের হামলা 

রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকায় অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইন ইসলাম পবন ও তার বড় ভাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিদুল হক। আহত হলেও তারা জীবিত ফিরতে সক্ষম হন।

ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে। বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা ভাইকে ধোলাইপাড় থেকে রিসিভ করে রিকশায় ফেরার পথে দয়াগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে ৭-৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল তাদের রিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে আটকায় এবং তানজিদুল হকের পায়ে আঘাত করে।

ছিনতাইকারীরা তানজিদুলের আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স, মানিব্যাগে থাকা ৬ হাজার টাকা এবং পবনের একটি বাটন ফোন ও ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পরপরই তারা গেন্ডারিয়া থানার কাছে থাকা একটি টহল পুলিশের কাছে সহায়তা চাইলে পুলিশ জানায়, এটি যাত্রাবাড়ি থানার অন্তর্ভুক্ত — তাই সেখানে অভিযোগ জানাতে হবে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, যাত্রাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানানো হলেও জিডিতে ছিনতাইয়ের কোনো উল্লেখ করা হয়নি; বরং বিষয়টিকে শুধুই ফোন হারানো হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধের গুরুত্ব নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন তারা।

তানজিদুল হক বলেন, “ছিনতাইয়ের কথা স্পষ্ট করে বলার পরও জিডিতে তা এড়িয়ে যাওয়া পুলিশের দায়িত্ব এড়ানোর একটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত। পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয়তায় ছিনতাইকারীরা বারবার রেহাই পাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রাণে বেঁচে ফিরেছি এটা শুধুই আল্লাহর রহমত। ছিনতাইকারীরা ছিল নেশাগ্রস্ত, ওরা চাইলে আমাদের মেরেও ফেলতে পারত। অথচ এ এলাকায় প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে, প্রশাসনের কোনো টনক নড়ছে না।”

স্থানীয়রা জানান, দয়াগঞ্জ ইবনে সিনার সেতুর এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইকারীদের জন্য ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত। এ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশি টহল বা নজরদারির অভাবে সাধারণ পথচারী ও শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন।

এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার এসআই মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, “আমরা মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এছাড়া এলাকাটিতে নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়েও আমরা সচেতন ভূমিকা রাখছি।”

তবে তিনি জিডিতে ছিনতাইয়ের তথ্য গোপন এবং পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে দয়াগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও নিয়মিত টহল জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মাধ্যমিকের পাঠ্যবই মূদ্রণে অনিশ্চয়তা

প্রাণে বাঁচলেও পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

জবি শিক্ষার্থীর উপর ছিনতাইকারীদের হামলা 

আপডেট সময় : ০৭:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকায় অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইন ইসলাম পবন ও তার বড় ভাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিদুল হক। আহত হলেও তারা জীবিত ফিরতে সক্ষম হন।

ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে। বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা ভাইকে ধোলাইপাড় থেকে রিসিভ করে রিকশায় ফেরার পথে দয়াগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে ৭-৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল তাদের রিকশা থামিয়ে অস্ত্রের মুখে আটকায় এবং তানজিদুল হকের পায়ে আঘাত করে।

ছিনতাইকারীরা তানজিদুলের আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স, মানিব্যাগে থাকা ৬ হাজার টাকা এবং পবনের একটি বাটন ফোন ও ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পরপরই তারা গেন্ডারিয়া থানার কাছে থাকা একটি টহল পুলিশের কাছে সহায়তা চাইলে পুলিশ জানায়, এটি যাত্রাবাড়ি থানার অন্তর্ভুক্ত — তাই সেখানে অভিযোগ জানাতে হবে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, যাত্রাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানানো হলেও জিডিতে ছিনতাইয়ের কোনো উল্লেখ করা হয়নি; বরং বিষয়টিকে শুধুই ফোন হারানো হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধের গুরুত্ব নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন তারা।

তানজিদুল হক বলেন, “ছিনতাইয়ের কথা স্পষ্ট করে বলার পরও জিডিতে তা এড়িয়ে যাওয়া পুলিশের দায়িত্ব এড়ানোর একটি ভয়ংকর দৃষ্টান্ত। পুলিশের এমন নিষ্ক্রিয়তায় ছিনতাইকারীরা বারবার রেহাই পাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রাণে বেঁচে ফিরেছি এটা শুধুই আল্লাহর রহমত। ছিনতাইকারীরা ছিল নেশাগ্রস্ত, ওরা চাইলে আমাদের মেরেও ফেলতে পারত। অথচ এ এলাকায় প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে, প্রশাসনের কোনো টনক নড়ছে না।”

স্থানীয়রা জানান, দয়াগঞ্জ ইবনে সিনার সেতুর এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইকারীদের জন্য ‘হটস্পট’ হিসেবে পরিচিত। এ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশি টহল বা নজরদারির অভাবে সাধারণ পথচারী ও শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন।

এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার এসআই মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, “আমরা মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। এছাড়া এলাকাটিতে নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়েও আমরা সচেতন ভূমিকা রাখছি।”

তবে তিনি জিডিতে ছিনতাইয়ের তথ্য গোপন এবং পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে দয়াগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন ও নিয়মিত টহল জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।