১০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৭ দালাল আটক, কারাদণ্ড

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও বিভিন্ন ধরনের হয়রানির দায়ে ৭ দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে দালালরা রোগীদের বিভ্রান্ত করে বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রের দিকে প্রেরণ করতো, আর এর বিনিময়ে কমিশন গ্রহণ করত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন এবং র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে হাসপাতালের অভ্যন্তর ও বহির্গামী এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দালাল চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়।

দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মিলন (৩৫), হারুন (৩৪), সজিব (২৫) ১৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, রতন (৩৮) ৩০দিন কারাদণ্ড, আকরাম হোসেন (২৫) ৭দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা, স্বপন (৪৪) এবং মাসুদ (৪৫) ১৫দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা পেয়েছেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, দালালরা সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে টাকা হাতিয়ে নিতো এবং প্রাইভেট হাসপাতালে প্রেরণ করতো। রোগীরা প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়ে তাদের নির্দেশে অন্যত্র চিকিৎসা নিতেন, ফলে সরকারি সেবা ব্যাহত হতো।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন বলেন, “দালালদের কার্যকলাপে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত দণ্ড দেওয়া হলো।”

র‍্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু বলেন, “রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। দালালদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

এ ঘটনায় স্বাস্থ্যখাতে স্বচ্ছতা ও রোগী অধিকার রক্ষার গুরুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণা রোধে অতিরিক্ত নজরদারি ও সচেতনতা অব্যাহত থাকবে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুসংবাদ ফেসবুকে, যা জানাল পরিবার

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ৭ দালাল আটক, কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও বিভিন্ন ধরনের হয়রানির দায়ে ৭ দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে দালালরা রোগীদের বিভ্রান্ত করে বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রের দিকে প্রেরণ করতো, আর এর বিনিময়ে কমিশন গ্রহণ করত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন এবং র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডুর নেতৃত্বে হাসপাতালের অভ্যন্তর ও বহির্গামী এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দালাল চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করা হয়।

দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মিলন (৩৫), হারুন (৩৪), সজিব (২৫) ১৫দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, রতন (৩৮) ৩০দিন কারাদণ্ড, আকরাম হোসেন (২৫) ৭দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা, স্বপন (৪৪) এবং মাসুদ (৪৫) ১৫দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা পেয়েছেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, দালালরা সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে টাকা হাতিয়ে নিতো এবং প্রাইভেট হাসপাতালে প্রেরণ করতো। রোগীরা প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়ে তাদের নির্দেশে অন্যত্র চিকিৎসা নিতেন, ফলে সরকারি সেবা ব্যাহত হতো।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন বলেন, “দালালদের কার্যকলাপে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত দণ্ড দেওয়া হলো।”

র‍্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু বলেন, “রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। দালালদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

এ ঘটনায় স্বাস্থ্যখাতে স্বচ্ছতা ও রোগী অধিকার রক্ষার গুরুত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণা রোধে অতিরিক্ত নজরদারি ও সচেতনতা অব্যাহত থাকবে।

এমআর/সবা