ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের শোক ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সভায় বলেন, “ন্যায়, ইনসাফ ও গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করতে যত ভয় দেখানো হোক না কেন, বাংলাদেশ কখনও সন্ত্রাস ও আধিপত্যবাদের কাছে মাথা নত করবে না। যারা জনগণকে জিম্মি করতে চাইবে, তারা জনরোষে পালাতে বাধ্য হবে।”
ফেনী জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক মাস্টার আহসানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এনসিপি ফেনী জেলা সদস্য সচিব শাহ ওয়ালী উল্যাহ মানিক ও এবি পার্টির সদস্য সচিব ফজলুল হকের যৌথ সঞ্চালনা করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
সভায় মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “আগামী নির্বাচন হবে হাদী হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কারের নির্বাচন। যারা সংস্কার চায়, তারা বৃহত্তর মোর্চা তৈরি করে নির্বাচন অংশ নিতে প্রস্তুত।”

একই সমাবেশে এনসিপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন বলেন “নির্বাচনে সংস্কারের পক্ষে এবং নতুন বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিতে হবে। যারা টাকার বিনিময়ে বা সামান্য সুবিধার জন্য নিজেদের বিক্রি করে, তারা কখনও রাষ্ট্রের শক্তি হতে পারে না। তরুণ প্রজন্ম ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ইতিহাস গড়েছে।”
সমাবেশের অন্যতম বিশেষ অতিথি এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা আমাদের হত্যার চেষ্টা করেছিল, তারা এখনও একই চেষ্টা চালাচ্ছে। হাদী হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো লক্ষণ না দেখালে তরুণ প্রজন্ম প্রশাসনের মুখোমুখি হতে বাধ্য হবে।”

সভায় কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যায় ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এমআর/সবা






















