০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে পড়লো গাড়ি, নিহত ১, আহত ৫

চট্টগ্রামের নিমতলা বিশ্বরোড মোড় সংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাল ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। এতে একজন নিহত ও এক পথচারীসহ ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পথচারী শফিক (৫৫) গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তিনি বন্দরের কর্মী বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গাড়িটি সম্ভবত অতিরিক্ত গতি নেওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং বাঁকপ্রদত্ত অংশে ঢাল ভেঙে নিচে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এক্সপ্রেসওয়ের বাঁকগুলোকে “মরণফাঁদ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখানে প্রায় ২১টি বাঁক দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।

এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পূর্বেও দুর্ঘটনার জন্য পরিচিত; গত বছর মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহীর মৃত্যু ঘটে। এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনা সড়ক নকশা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলেছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, তবে কিছু র‌্যাম্প এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি, যা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। প্রশাসন স্পিড মনিটরিং ও সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, দুর্ঘটনাটি শুধু একটিমাত্র ট্র্যাজিক ঘটনা নয়; এটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন ও কড়াকড়ি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার প্রতীক।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থেকে বুলেটপ্রুফ বাসে পূর্বাচলের সংবর্ধনায় যাচ্ছেন তারেক রহমান

এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে পড়লো গাড়ি, নিহত ১, আহত ৫

আপডেট সময় : ০৬:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের নিমতলা বিশ্বরোড মোড় সংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাল ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। এতে একজন নিহত ও এক পথচারীসহ ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পথচারী শফিক (৫৫) গুরুতর আহত হন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। তিনি বন্দরের কর্মী বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, গাড়িটি সম্ভবত অতিরিক্ত গতি নেওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং বাঁকপ্রদত্ত অংশে ঢাল ভেঙে নিচে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এক্সপ্রেসওয়ের বাঁকগুলোকে “মরণফাঁদ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখানে প্রায় ২১টি বাঁক দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।

এ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পূর্বেও দুর্ঘটনার জন্য পরিচিত; গত বছর মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই আরোহীর মৃত্যু ঘটে। এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনা সড়ক নকশা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন তুলেছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, তবে কিছু র‌্যাম্প এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি, যা ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। প্রশাসন স্পিড মনিটরিং ও সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, দুর্ঘটনাটি শুধু একটিমাত্র ট্র্যাজিক ঘটনা নয়; এটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন ও কড়াকড়ি প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার প্রতীক।