মধ্য আরজিকালিকাপুর সদর উদ্দিন হাওলাদার বাড়ির জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ১৬ জানুয়ারি ২০২৬ (২ মাঘ ১৪৩২, শুক্রবার) আল-মদিনা নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদের উদ্যোগে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামি শিক্ষার আলোয় ভেসে উঠা এই মাহফিলে দেশের বিশিষ্ট আলেম ও ধর্মগুরুরা অংশগ্রহণ করবেন এবং স্থানীয় মানুষ ও ছাত্র-যুবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিবেন।

প্রধান বক্তা হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল হোসাইন আসমানী, পরিচালক জামে আ’শাইখুল হিন্দ বরিশাল, এবং খলিফা পীর সাহেব ঢালকা নগর, ঢাকা, ধর্মীয় আলোচনা এবং নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করবেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজে উপস্থিত থাকবেন হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ হুসাইন বাখেরগঞ্জ এবং হযরত মাওলানা মো. মিজানুর রহমান শিকদার। তারা কোরআন-হাদিসের আলোকে সমাজে নৈতিকতা, যুবসমাজের সঠিক পথচলা এবং দোয়ার মাধ্যমে জীবনধারায় আলোকবর্তিকা হিসেবে ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করবেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মো. আবুল বাশার, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সচিব, শাহ-জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে মাহফিলে থাকবেন মো. আব্দুর রব, সাবেক অধ্যক্ষ, চাঁদপাশা হাই স্কুল এন্ড কলেজ, এবং মাও. মো. এনায়েতুর রহমান সুপার (ভারপ্রাপ্ত), বাবুগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা।

মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মো. সুলতান আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ মাহমুদ, ইমাম ও খতিব, সদরউদ্দিন হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মাহফিলে দলে দলে মানুষের উপস্থিতি হবে এবং তারা ওয়াজ শুনে আত্মিক প্রশান্তি ও নেকি অর্জন করবেন।

শিশু, কিশোর, যুবক ও প্রবীণসহ সকল বয়সী মানুষ অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। ওয়াজের পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে দর্শকরা আত্মিক শান্তি অর্জন করবেন। মাহফিলটি স্থানীয় কমিউনিটিতে সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটাবে।

উক্ত আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা শুধু ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করবেন না, বরং সমাজে নৈতিকতা ও পারস্পরিক সহযোগিতার শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতেও এ ধরনের ওয়াজ মাহফিল নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হবে, যাতে ধর্মচর্চা, সম্প্রদায়িক ঐক্য এবং সামাজিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়।

এবারের ওয়াজ মাহফিলে সকলকে নিরাপদ, সুস্থ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে অংশগ্রহণ করার জন্য আয়োজন কমিটি বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে। এছাড়া দর্শক ও ছাত্র-যুবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা, পানি ও ছায়া সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মাহফিলটি ধর্মীয় ভাবনার পাশাপাশি সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষার প্রসারে নতুন দিকনির্দেশনার জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রত্যাশা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

এমআর/সবা