চট্টগ্রামে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ১,৯৬৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। তথ্য অনুযায়ী, ৬৫৬ কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ (অতি ঝুঁকিপূর্ণ) এবং ৮৩৫ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব, রাস্তা ও যাতায়াতের খারাপ অবস্থা, সন্ত্রাসী প্রবণ এলাকা বা প্রভাবশালী প্রার্থীর উপস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রগুলোকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ভোটারদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ও জেলার কয়েকটি ওয়ার্ড মিলিয়ে ছয় আসনের মোট ৬০৭ কেন্দ্রে ৩১২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ১৪৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৪৬টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে। জেলার ১২টি আসনের মোট ১,৩৫৮টি কেন্দ্রে ৩৪৪টি অতি গুরুত্বপূর্ণ, ৬৮৬টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৩২৮টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিকল্পনা অনুযায়ী, অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন সশস্ত্র পুলিশ, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে দুজন সশস্ত্র পুলিশ ও সাধারণ কেন্দ্রে একজন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন আনসার সদস্য থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে মোবাইল টহল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সও মোতায়েন থাকবে।
মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম) আমিনুর রশীদ জানান, নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে তিনজন সশস্ত্র পুলিশ, দুজন সশস্ত্র আনসার এবং ১০ জন বিশেষ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি প্রতি কেন্দ্রে দুজন করে গ্রাম পুলিশ সদস্য থাকবেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের গণমাধ্যম বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) রাসেল বলেন, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮৩৯ জন, মহিলা ভোটার ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ৭২২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৬৯ জন। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ১২,৪০৪টি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, দেশের জনগণের পাশাপাশি বিশ্ববাসীও আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করছি।























