০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যহীন ডিজিটাল বিশ্ব গড়তে ‘ঢাকা সনদ ২০২৩’ ঘোষণা করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন ডিজিটাল বিশ্ব গড়তে ১০ দফার ‘ঢাকা সনদ ২০২৩’ ঘোষণা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। ঘোষিত সনদে বলা হয়েছে- ডিজিটাল অভিগম্যতায় সমতা আনয়ন; ডিপিআই ও এআই এর শক্তিকে ত্বরান্বিতকরণ; বৈশ্বিক সুবিধার জন্য দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার; বৈশ্বিক অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয়, অংশীদারিত্ব ও জোট গড়ে তোলা; নর্থ-সাউথ, সাউথ-সাউথ-নর্থ ট্রায়াংগুলার সহযোগিতা; শিক্ষা এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরতা; ইনক্লুশন ফর ফ্রুগাল ইনোভেশন; আর্থিক অন্তর্ভুক্তি; দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রযুক্তিগত ফ্রেমওয়ার্ক
তৈরি এবং জেন্ডার ইনক্লুশন।
৩১ অক্টোবর দুই দিনের ‘ডিপিআই অ্যান্ড এআই ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে ১০ দফা সনদের বিস্তারিত তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপনীতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশ্ব ব্যাংক, ইউনেস্কো, ইউএনডিপিসহ দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা এবং দেশের প্রযুক্তি খাতের ৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনে বিপ্লব এসেছে। শিক্ষাখাতে প্রযুক্তি প্রসারের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করছি। গতানুগতিক শিক্ষাকার্যক্রম থেকে আধুনিক শিক্ষায় রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। আমরা ইতোমধ্যে ব্লেন্ডেড শিক্ষার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সমৃদ্ধ শিক্ষা নিশ্চিতে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছি। এর মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম এমনভাবে ডিজাইন করছি, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ‘নৈপুণ্য অ্যাপ’ উদ্বোধন করেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন রেকর্ড সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও প্রতিবেদন তৈরি স্মার্ট ও সহজ করতে তৈরি করা হয়েছে এ নৈপুণ্য অ্যাপ। এ অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও পারদর্শিতার অবস্থা জানতে পারবেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট বিশ্ব গড়ার ক্ষেত্রে সেক্টরভিত্তিক ১৪টি বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিপিআই এর সর্বোত্তম চর্চার ওপর আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

বৈষম্যহীন ডিজিটাল বিশ্ব গড়তে ‘ঢাকা সনদ ২০২৩’ ঘোষণা করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন ডিজিটাল বিশ্ব গড়তে ১০ দফার ‘ঢাকা সনদ ২০২৩’ ঘোষণা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। ঘোষিত সনদে বলা হয়েছে- ডিজিটাল অভিগম্যতায় সমতা আনয়ন; ডিপিআই ও এআই এর শক্তিকে ত্বরান্বিতকরণ; বৈশ্বিক সুবিধার জন্য দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার; বৈশ্বিক অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয়, অংশীদারিত্ব ও জোট গড়ে তোলা; নর্থ-সাউথ, সাউথ-সাউথ-নর্থ ট্রায়াংগুলার সহযোগিতা; শিক্ষা এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরতা; ইনক্লুশন ফর ফ্রুগাল ইনোভেশন; আর্থিক অন্তর্ভুক্তি; দায়িত্বশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রযুক্তিগত ফ্রেমওয়ার্ক
তৈরি এবং জেন্ডার ইনক্লুশন।
৩১ অক্টোবর দুই দিনের ‘ডিপিআই অ্যান্ড এআই ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে ১০ দফা সনদের বিস্তারিত তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সমাপনীতে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশ্ব ব্যাংক, ইউনেস্কো, ইউএনডিপিসহ দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা এবং দেশের প্রযুক্তি খাতের ৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনে বিপ্লব এসেছে। শিক্ষাখাতে প্রযুক্তি প্রসারের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করছি। গতানুগতিক শিক্ষাকার্যক্রম থেকে আধুনিক শিক্ষায় রূপান্তরের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। আমরা ইতোমধ্যে ব্লেন্ডেড শিক্ষার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা সমৃদ্ধ শিক্ষা নিশ্চিতে ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছি। এর মধ্যেই শিক্ষা কার্যক্রম এমনভাবে ডিজাইন করছি, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে পারে। এ ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও প্রযুক্তি নির্ভর করার জন্য
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ‘নৈপুণ্য অ্যাপ’ উদ্বোধন করেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন রেকর্ড সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও প্রতিবেদন তৈরি স্মার্ট ও সহজ করতে তৈরি করা হয়েছে এ নৈপুণ্য অ্যাপ। এ অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও পারদর্শিতার অবস্থা জানতে পারবেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট বিশ্ব গড়ার ক্ষেত্রে সেক্টরভিত্তিক ১৪টি বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিপিআই এর সর্বোত্তম চর্চার ওপর আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।