০৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত।

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে স্মৃতিসৌধে পৌঁছান তিনি। এদিন বিকাল ৫টার দিকে সাভারের দিকে রওনা হন তিনি। তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

এর আগে বিকাল ৪টা ৪২ মিনিটে শেরেবাংলা নগরের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করেন তারেক রহমান।

তারেক রহমানের জাতীয় স্মৃতিসৌধের কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্ব পয়েন্টে ব্যাপকসংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল থেকেই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে শুরু করে স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক পর্যন্ত এখন জনারণ্য।

হাতে ব্যানার, ফেস্টুন আর জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হন নেতাকর্মীরা। ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, ফিরলেন এবার বাংলাদেশে’—এমন নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। নেতাকর্মীদের এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের। জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, দুপুরের পর থেকেই সাভার, ধামরাই ও আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা এসে জমায়েত হতে শুরু করেন।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

পরে বিকালে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি তুলে ধরেন এক নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চিত্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

এমআর/সবা

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজ দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিফাত

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে স্মৃতিসৌধে পৌঁছান তিনি। এদিন বিকাল ৫টার দিকে সাভারের দিকে রওনা হন তিনি। তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

এর আগে বিকাল ৪টা ৪২ মিনিটে শেরেবাংলা নগরের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর দোয়া ও মোনাজাত করেন তারেক রহমান।

তারেক রহমানের জাতীয় স্মৃতিসৌধের কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্ব পয়েন্টে ব্যাপকসংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল থেকেই স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশের এলাকায় লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখতে এবং তাকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে শুরু করে স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক পর্যন্ত এখন জনারণ্য।

হাতে ব্যানার, ফেস্টুন আর জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকায় জড়ো হন নেতাকর্মীরা। ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, ফিরলেন এবার বাংলাদেশে’—এমন নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। নেতাকর্মীদের এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের। জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, দুপুরের পর থেকেই সাভার, ধামরাই ও আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা এসে জমায়েত হতে শুরু করেন।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

পরে বিকালে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি তুলে ধরেন এক নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চিত্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

এমআর/সবা