০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রাম-৪ প্রার্থী চেনেন না ভোটাররা-জমেনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা 

দ্বাদশ সংসদ নিবার্চনকে ঘিরে সংসদীয় আসন কুড়িগ্রাম-৪ এর প্রাথীরা তাদের কমী সমর্থকদের নিয়ে নেমে পড়েছেন নিবার্চনী মাঠে। তবে এখনো জমেনি নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণা। এ আসনে মোট ১০ জন প্রাথী প্রতিদ্বন্দিতা করলেও দু-চারজন বাদে প্রাথী চেনেন না অধিকাংশ ভোটার।
সংসদীয় আসন কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) আসনের বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। যদিও গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারগুলোতে নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের সাথে জাতীয়পার্টির লাঙল প্রতিকের মধ্যে মুল প্রতিদ্বন্দিতা হলেও দু-একজন স্বতন্ত্র প্রাথর্ীও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দিতার দৌড়ে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টির প্রার্থীরা দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। এমন অবস্থাকে নির্বাচনী উৎসব বলতে নারাজ সাধারণ ভোটাররা।
এলাকায় প্রতিদিনই নৌকা ও লাঙলের পক্ষে মিছিল হচ্ছে। কোথাও কোথাও প্রার্থীর পক্ষে বাসাবাড়িতে গিয়ে ভোটও চাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর হাট-বাজার গুলোতে শোডাউনও দেখছেন তারা। কিন্তু অন্য কোনো প্রতীকের সমর্থনে মিছিল বা প্রচার-প্রচারণা কেউ দেখেননি।
রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার আছিয়া বেগম ও রহিমা বেগম বলেন, তাদের কাছে এখনো কেউ ভোট চাইতে আসেনি। তবে পুরুষদের আলোচনায় লাঙল, নৌকা ও ঢেকি প্রতিকের কথা শুনলেও প্রাথীদের চেনেন না। থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী কাজলডাঙা এলাকার জরিনা বেওয়া ও ফলিজলা বেওয়া, অষ্টমীর চর ইউনিয়নের বড় চরের রমিচা বেগম, মুদাফৎকালিপুর এলাকার শাহিনা বেগম একই কথা জানান। রৌমারী উপজেলার যাদুর চর এলাকার শামছুন্নাহার বেগম, রফিয়াল হক, দাঁতভাঙ্গা এলাকা শাহা আলম, নুর মোহাম্মদ, রাজিবপুর উপজেলার জাউনিয়ার চরের আব্দুল ওহাব, মিয়া পাড়ার জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নৌকার ও লাঙলের দু-একটি প্রচার মিছিল দেখেছি। এখনো ভোট জমে ওঠেনি।
কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৬ জন। এই আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতিকে বিল্পব হাসান পলাশ, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতিকে এ কে এম সাইফুর রহমান, জাতীয় পার্টি জেপি’র সাইকেল প্রতিকে মো. রুহুল আমিন, ঢেকি প্রতিকে  ডা. ফারুকুল ইসলাম। এর বাইরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোহাম্মদ আবু শামিম গামছা প্রতিকে, তৃণমুল বিএনপি’র মো. আকবর খান সোনালী আঁশ প্রতিকে, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র মো. আব্দুল হামিদ ডাব প্রতিকে, মজিবুর রহমান বঙবাসী ঈগল প্রতিকে, মো. মাসুম ইকবাল কাঁচি প্রতিকে, মো. শহিদুল ইসলাম শালু ট্রাক প্রতিকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তবে তাদের চেনেন না বলে জানান স্থানীয়রা ভোটাররা।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

কুড়িগ্রাম-৪ প্রার্থী চেনেন না ভোটাররা-জমেনি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা 

আপডেট সময় : ১১:১৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ সংসদ নিবার্চনকে ঘিরে সংসদীয় আসন কুড়িগ্রাম-৪ এর প্রাথীরা তাদের কমী সমর্থকদের নিয়ে নেমে পড়েছেন নিবার্চনী মাঠে। তবে এখনো জমেনি নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণা। এ আসনে মোট ১০ জন প্রাথী প্রতিদ্বন্দিতা করলেও দু-চারজন বাদে প্রাথী চেনেন না অধিকাংশ ভোটার।
সংসদীয় আসন কুড়িগ্রাম-৪ (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর) আসনের বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। যদিও গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারগুলোতে নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে।
এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের সাথে জাতীয়পার্টির লাঙল প্রতিকের মধ্যে মুল প্রতিদ্বন্দিতা হলেও দু-একজন স্বতন্ত্র প্রাথর্ীও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দিতার দৌড়ে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয়পার্টির প্রার্থীরা দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ভোটারদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। এমন অবস্থাকে নির্বাচনী উৎসব বলতে নারাজ সাধারণ ভোটাররা।
এলাকায় প্রতিদিনই নৌকা ও লাঙলের পক্ষে মিছিল হচ্ছে। কোথাও কোথাও প্রার্থীর পক্ষে বাসাবাড়িতে গিয়ে ভোটও চাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর হাট-বাজার গুলোতে শোডাউনও দেখছেন তারা। কিন্তু অন্য কোনো প্রতীকের সমর্থনে মিছিল বা প্রচার-প্রচারণা কেউ দেখেননি।
রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা এলাকার আছিয়া বেগম ও রহিমা বেগম বলেন, তাদের কাছে এখনো কেউ ভোট চাইতে আসেনি। তবে পুরুষদের আলোচনায় লাঙল, নৌকা ও ঢেকি প্রতিকের কথা শুনলেও প্রাথীদের চেনেন না। থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারী কাজলডাঙা এলাকার জরিনা বেওয়া ও ফলিজলা বেওয়া, অষ্টমীর চর ইউনিয়নের বড় চরের রমিচা বেগম, মুদাফৎকালিপুর এলাকার শাহিনা বেগম একই কথা জানান। রৌমারী উপজেলার যাদুর চর এলাকার শামছুন্নাহার বেগম, রফিয়াল হক, দাঁতভাঙ্গা এলাকা শাহা আলম, নুর মোহাম্মদ, রাজিবপুর উপজেলার জাউনিয়ার চরের আব্দুল ওহাব, মিয়া পাড়ার জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নৌকার ও লাঙলের দু-একটি প্রচার মিছিল দেখেছি। এখনো ভোট জমে ওঠেনি।
কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৬ জন। এই আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতিকে বিল্পব হাসান পলাশ, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতিকে এ কে এম সাইফুর রহমান, জাতীয় পার্টি জেপি’র সাইকেল প্রতিকে মো. রুহুল আমিন, ঢেকি প্রতিকে  ডা. ফারুকুল ইসলাম। এর বাইরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোহাম্মদ আবু শামিম গামছা প্রতিকে, তৃণমুল বিএনপি’র মো. আকবর খান সোনালী আঁশ প্রতিকে, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র মো. আব্দুল হামিদ ডাব প্রতিকে, মজিবুর রহমান বঙবাসী ঈগল প্রতিকে, মো. মাসুম ইকবাল কাঁচি প্রতিকে, মো. শহিদুল ইসলাম শালু ট্রাক প্রতিকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তবে তাদের চেনেন না বলে জানান স্থানীয়রা ভোটাররা।