অন্য মৌসুমের তুলনায় শীতে পুরনো ব্যথার হঠাৎ দেখা দেয়। বাড়তে থাকে শরীরের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করার কারণে অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত হয়ে যায়। ফলে আর্থ্রাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। শীতের মাসে শারীরের ব্যথা কমাতে অনুসরণ করতে পারেন কয়েকটি পদ্ধতি । দেখে নিন কী উপায়ে ব্যথা কমানো যায়।
হালকা ব্যায়াম :
প্রতিদিনের রুটিনে হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং রাখতে পারেন। হালকা ব্যয়ামের ফলে অস্থিসন্ধি ও পেশি নমনীয় রাখতে সাহায়তা করে। এসবের মধ্য হাঁটা, সাঁতার বা হালকা ব্যয়াম করতে পারেন। এটা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানোর জন্য খুবই কার্য। ব্যয়াম করার আগে একজন থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়ে জেনে নিন কোন ব্যথার জন্য কোন ধরনের ব্যায়াম উপকারী।
উষ্ণ থাকুন :
শীতের মৌসুমে পুরনো ব্যথা কমাতে উষ্ণভাবে থাকতে চেষ্টা করুন । শীতের পোশাক থেকে শুরু করে টুপি, মোজা ও শরীরের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে এমন পোশাক ব্যবহার করুন। গরম কাপড়ের ফলে পেশি এবং অস্থিসন্ধিগুলো শক্ত হতে পারে না। শরীরের যেসব জায়গায় বেশি ব্যথা অনুভব করেন সেগুলো উষ্ণ রাখতে গরম কাপড়ের পাশাপাশি কম্বল ব্যবহার করতে পারেন।
হাইড্রেশন এবং পুষ্টি:
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরে খুব সহজেই ডিহাইড্রেশন হতে পারে, এতে ব্যথার লক্ষণ আরও বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে রঙ চা, এবং স্যুপ ও উষ্ণ তরল পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে পারেন। এতে হাইড্রেটেড থাকতে সহায়ক হবে। এছাড়াও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং সমৃদ্ধ খাবার- যেমন ফ্যাটি মাছ, বাদাম, রঙিন ফল ও শাকসবজি ব্যথা কমাতে দারুণ সহায়ক হতে পারে। যথা সম্ভব সবুজ শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পর্যাপ্ত ঘুম:
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে শরীরের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুব উপকারী। দৈনিক একটি সময় ঠিক করে নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ঘুমের জন্য সহায়ক ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন। শরীরের সংবেদনশীল স্থানে যাতে চাপ কম পরে তার জন্য বালিশ বা কুশন ব্যবহার করেও উপকার পেতে পারেন। ফলে ব্যথা কমাতে সহায়ক হবে।
হিট প্যাড:
এছাড়াও শরীরে ব্যথা কমাতে ব্যথার স্থানে হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। ব্যথা কমাতে প্রতিদিন হালকা গরম পানি পান ও গোসল করুন। এর ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ও মাংসপেশির শক্তভাব কমাতে একইসাথে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের প্রতি আলাদা যত্ন নিতে পারেন বিশেষ করে শীতের মৌসুমে।


























