০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদগাঁওর খাল ও বেড়িবাঁধে দখলচেষ্টা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন

oplus_2

কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ দখল করে ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব লারাবা এলাকায় এই ঘটনার কারণে ঐতিহ্যবাহী খাল ও জন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকজন ব্যক্তি তাদের বাড়িভিটার সাথে লাগুয়া বেড়িবাঁধ কেটে ফেলে এবং খালের অংশ নিজেদের ভিটায় সংযুক্ত করেছেন। এতে মাটি কেটে নদীর গতিপথও পরিবর্তন করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের ফলে খালের আয়তন কমে গেছে, যা বন্যা ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচল—যাতে রিক্সা, অটো টেম্পু এবং পথচারী অন্তর্ভুক্ত—ও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

বেড়িবাঁধ দখল ও নদীর গতিপথ পরিবর্তনের সময় প্রায় ২০টি ইউক্লিপটাস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সচেতন বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন জানান, প্রশাসনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ না হলে অন্যান্যরাও নদীর জমি দখল করতে উৎসাহী হবে। এতে এলাকার শতাধিক পরিবার সরাসরি প্রভাবিত হবে এবং বন্যা ও ঝড়ের সময় তারা পানিবন্দী জীবনযাপন করতে বাধ্য হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের একাংশ দখল করার ফলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খুঁটিগুলোও অভিযুক্তদের বসতভিটার ভিতরে চলে গেছে। বেড়ি কেটে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে এলাকাবাসীকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। প্রস্থে ৬ ফুট ও দৈর্ঘ্যে ৫০ ফুট এলাকা দখল করা হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ শফি আলম তার ভিটির সাথে বেড়িবাঁধের অংশ সংযুক্ত করেছে, অন্যদিকে সিরাজুল হক নদীর গতিপথ পরিবর্তন করেছেন। অভিযুক্ত মোঃ ফিরদাউস প্রকাশ ফিরোজ দখলের কথা স্বীকার করে বলেছেন, প্রয়োজনে আইনের মাধ্যমে বা সচেতন ব্যক্তিদের পরামর্শ অনুযায়ী তারা দখল ত্যাগ করতে রাজি। অপরদিকে সিরাজুল হক জানান, তিনি গাড়িতে আছেন এবং বিষয়টি পরে বিস্তারিত জানাবেন।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, দখল অব্যাহত থাকলে বন্যার সময় খালের পানি ঠিকমতো প্রবাহিত হবে না, যা এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদ বিপন্ন করতে পারে। এছাড়া বেড়িবাঁধ ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন চলাচলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হবে।

এ ঘটনার ফলে প্রশাসনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবী উঠেছে। সচেতন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে অন্যান্যরাও একই পথে অনুপ্রাণিত হবে এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ও খালের আয়তন হ্রাস পাবে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

ঈদগাঁওর খাল ও বেড়িবাঁধে দখলচেষ্টা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন

আপডেট সময় : ০৮:০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ দখল করে ব্যক্তিগত বসতভিটা সম্প্রসারণের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব লারাবা এলাকায় এই ঘটনার কারণে ঐতিহ্যবাহী খাল ও জন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকজন ব্যক্তি তাদের বাড়িভিটার সাথে লাগুয়া বেড়িবাঁধ কেটে ফেলে এবং খালের অংশ নিজেদের ভিটায় সংযুক্ত করেছেন। এতে মাটি কেটে নদীর গতিপথও পরিবর্তন করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের ফলে খালের আয়তন কমে গেছে, যা বন্যা ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণের চলাচল—যাতে রিক্সা, অটো টেম্পু এবং পথচারী অন্তর্ভুক্ত—ও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

বেড়িবাঁধ দখল ও নদীর গতিপথ পরিবর্তনের সময় প্রায় ২০টি ইউক্লিপটাস গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সচেতন বাসিন্দা বোরহান উদ্দিন জানান, প্রশাসনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ না হলে অন্যান্যরাও নদীর জমি দখল করতে উৎসাহী হবে। এতে এলাকার শতাধিক পরিবার সরাসরি প্রভাবিত হবে এবং বন্যা ও ঝড়ের সময় তারা পানিবন্দী জীবনযাপন করতে বাধ্য হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের একাংশ দখল করার ফলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খুঁটিগুলোও অভিযুক্তদের বসতভিটার ভিতরে চলে গেছে। বেড়ি কেটে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে এলাকাবাসীকে ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে। প্রস্থে ৬ ফুট ও দৈর্ঘ্যে ৫০ ফুট এলাকা দখল করা হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মোহাম্মদ শফি আলম তার ভিটির সাথে বেড়িবাঁধের অংশ সংযুক্ত করেছে, অন্যদিকে সিরাজুল হক নদীর গতিপথ পরিবর্তন করেছেন। অভিযুক্ত মোঃ ফিরদাউস প্রকাশ ফিরোজ দখলের কথা স্বীকার করে বলেছেন, প্রয়োজনে আইনের মাধ্যমে বা সচেতন ব্যক্তিদের পরামর্শ অনুযায়ী তারা দখল ত্যাগ করতে রাজি। অপরদিকে সিরাজুল হক জানান, তিনি গাড়িতে আছেন এবং বিষয়টি পরে বিস্তারিত জানাবেন।

স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, দখল অব্যাহত থাকলে বন্যার সময় খালের পানি ঠিকমতো প্রবাহিত হবে না, যা এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পদ বিপন্ন করতে পারে। এছাড়া বেড়িবাঁধ ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন চলাচলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হবে।

এ ঘটনার ফলে প্রশাসনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবী উঠেছে। সচেতন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে অন্যান্যরাও একই পথে অনুপ্রাণিত হবে এবং নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ও খালের আয়তন হ্রাস পাবে।

এমআর/সবা