ভোটের ফল প্রকাশ হলেও, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। তবে পিপিপি, পিএমএল-এনসহ অন্য কিছু রাজনৈতিক দল কেন্দ্রে একটি জোট সরকার গঠনে সম্মত হওয়ায় সেই অনিশ্চয়তা কেটেছে। আর এর ফলে আসিফ আলী জারদারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) আদলে গত মঙ্গলবার ছয় দলীয় জোট- পিএমএল-এন, পিপিপি, এমকিউএমপি, পিএমএল-কিউ, আইপিপি এবং বিএপি কেন্দ্রে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
পিএমএল-কিউ সভাপতি চৌধুরী সুজাত হুসেনের বাসভবনে দলীয় প্রধানদের বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী জোট সরকারের জন্য ছয়-দলীয় জোট ঘোষণা করে সাবেক প্রেসিডেন্ট জানান, তারা একসঙ্গে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সংবাদ সম্মেলনের আগে পিপিপি প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছিলেন যে তার দল কেন্দ্রীয় সরকারের অংশ না হয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নির্বাচন করতে পিএমএল-এনকে সমর্থন দেবে।
তবে জাতীয় পরিষদের স্পিকার, সিনেট চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্ট পদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পিপিপি চেয়ারম্যান বলেন, এই পদগুলোর বিষয়ে তার দল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এ সময় তিনি আসিফ আলী জারদারিকে প্রেসিডেন্ট করার কথা বলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ বলছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর পদের দিকেও নজর আছে পিপিপি’র। দলের নেতা সরফরাজ বুগতি তার দলকে প্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবহিত করেছেন।
জানা গেছে, পিএমএল-এন নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য শাহবাজ শরিফকে পিপিপি’র সমর্থনের বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট পদে জারদারিকে সমর্থন করতে সম্মত হয়েছে। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে, পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং পিপিপি থেকে প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে পাকিস্তান।
এদিকে পিএমএল-এনের সিনিয়র নেতা রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, পিপিপি প্রেসিডেন্টের শীর্ষ সাংবিধানিক পদ দাবি করেনি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে শাহবাজের, অন্যদিকে আসিফ আলী জারদারির বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেয়ার রাজনৈতিক দক্ষতা রয়েছে। তবে পিপিপি প্রেসিডেন্টের পদ দাবি করেনি বা কোনো প্রতিশ্রুতিও দেয়নি বলে দাবি করেন রানা সানাউল্লাহ।
স/মিফা


























