লেখালেখি থেকেই সাংবাদিকতায় আসা। দুটোই যেন ধ্যান জ্ঞান এমি জান্নাতের। শুধু লেখালিখি নয়,বহুমুখী কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। এবার নেমেছেন মিউজিক ভিডিও পরিচালনায়। নিজের লেখা গানের মিউজিক ভিডিওর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। আসছে এমি জান্নাতের লেখা গান ‘মনের বারণ’-এর মিউজিক ভিডিও। এতে মডেল হিসেবেও রয়েছেন তিনি।
প্রথমবার পরিচালনায় আসার অনুভূতি জানতে চাইলে এমি বলেন, যেকোনো ভালো কিছুর শুরুর অনুভূতিটা সব সময় অন্যরকম হয়। সেক্ষেত্রে নিজের লেখা লিরিকে মিউজিক ভিডিও পরিচালনার অনুভূতিটাও সত্যিই অনেক আনন্দের।
মডেল হিসেবে এর আগে কাজ করলেও গীতিকার হিসেবেও এটাই তার প্রথম কাজ। এমি বলেন,আরও কিছু লিরিক আছে। ইতিবাচক সাড়া পেলে সামনে সেগুলো নিয়ে কাজ করবো আশা করি।
এমি বলেন, গানটি সুর করেছেন এবং কন্ঠ দিয়েছেন তানিম হায়াত খান রাজিত। রাজিত ভাইয়ার ক্যামেরায় ছিল তার মেয়ে রিনান আরশি খান তূর্ণা। মিউজিকে আছেন সজীব দাস।
গানটির মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে আরও আছেন আল-আমীন। সিনেমাটোগ্রাফি ও ফটোগ্রাফিতে শেখ সাদী। সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। এরপরই রিলিজ পাবে গানটি। আশা করছি শীঘ্রই গানটি সবাই দেখতে পাবেন আমার ‘মনের বারণ’।
নিজের অভিনয়ে নিজের ডিরেকশনের অভিজ্ঞতা কেমন— জানতে চাইলে এমি বলেন, সত্যি বলতে চ্যালেঞ্জিং। কারণ নিজের ভেতর থেকে এক্সপ্রেশন বের করে আনার পাশাপাশি কো-আর্টিস্টকে বোঝানো। একটু চাপ তো ছিলই। তবে টিমের সহযোগিতা ছাড়া এটা কখনোই সম্ভব ছিলো না। পুরো টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
‘মনের বারণ’ সম্পর্কে তিনি বলেন, আসলে পুরো গানটি স্যাড-রোমান্টিক কম্বিনেশনে লেখা। সেখানে লিরিকে মনের বারণ দিয়ে কিছু অনুভূতি বোঝানো হয়েছে। এভাবেই নামটা দেয়া।
‘আপনি তো একাধারে লেখক, সাংবাদিক, উপস্থাপক, কাউন্সেলর, সমাজকর্মী, মডেল এবং পরিচালনাতেও এলেন। এক কথায় মাল্টিটাক্সিং। এবং আপনার সব কাজই গোছানো। এত কিছু একসাথে গুছিয়ে করতে পারেন কিভাবে?’ প্রশ্নের জবাবে এমি বলেন, প্রতিটি কাজই আমি আসলে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে করার চেষ্টা করি। যেটার জন্য যতটা সময় এবং ইফোর্ট দেয়া দরকার সেটাই দিই। এতে টাইম ম্যানেজমেন্টটাও খুব সুন্দরভাবে হয়ে যায়।
ক্যামেরার সামনে এবং পেছনে কাজ করছেন। ছোট পর্দা বা বড় পর্দায় আসার ইচ্ছে আছে কি?জানতে চাইলে এমি বলেন, সেভাবে কখনো ভাবিনি। আমি যে কয়টা কাজ ক্যামেরার সামনে করেছি,সবই শখে। ক্যামেরার পেছনে কাজ করাটা বেশি উপভোগ করি। আর আমার মূল কাজের জায়গা আমার লেখা এবং সাংবাদিকতা। এটাকেই ফোকাস রাখতে চাই।


























