০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্লুলেস-জটিল মামলার রহস্যের জট খুলছে ডিএনএ পরীক্ষায়

▶ নমুনা পরীক্ষায় চাপ বাড়ছে সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে
▶ রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে ৯০ ভাগ

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হচ্ছে হত্যা-ডাকাতিসহ নানান ধরনের অপরাধ। এর মধ্যে অধিকাংশই থাকে ক্লুলেস। থানায় মামলা হলেও পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে প্রকৃত অপরাধীরা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্পর্শকাতর এসব মামলার বিচার কার্যক্রমও সহসাই শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। ডিজিটালের এ যুগে তদন্তকারী কর্মকর্তারাও স্পর্শকাতর ক্লুলেস ও জটিল মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এর ফলে ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামত পরীক্ষায় চাপ বাড়ছে সিআইডি’র ডিএনএ ল্যাবে। সুফলও পাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। রহস্য উন্মেচিত হচ্ছে ৯০ ভাগ। গ্রেপ্তারও হচ্ছেন প্রকৃত অপরাধীরা। পুলিশ বলছে, বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করা গেলে ক্লুলেস ও পুরোনো জটিল মামলার তদন্তে গতি আরো বেড়ে যাবে। এতে ন্যায় বিচার পেতে বঞ্চিত হবে না বিচারপ্রার্থীরা। গতকাল শুক্রবার সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। ঘটছে দুর্ধর্ষ ডাকাতিসহ নানান ধরনের অপরাধ। এসব ঘটনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে না কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ। এমন অনেক ঘটনায় পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় মামলার তদন্তে হিমশিম খান তদন্তকারী কর্মকর্তারাও। বছরের পর বছর তদন্ত করেও কোনো কূল-কিনারা করতে পারেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে ক্লুলেস ও জটিল এসব মামলার পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে প্রকৃত অপরাধীরাও থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় বিজ্ঞ আদালতের বিচারকও স্পর্শকাতর মামলাগুলোর বিচারকার্যক্রম শেষ করতে পারেন না।

 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী এক নারীর নাম লায়লা ইয়াছমিন (ছদ্মনাম)। সম্প্রতি তিনি ঢাকার বাইরের একটি জেলা থেকে ঢাকার মালিবাগের সিআইডি’র প্রধান কার্যালয়ে আসেন। স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় নিজ কোলের শিশু সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় নিশ্চিতের দাবিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির কার্যালয়ে হাজির হন। ওই নারী জানায়, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তার গর্ভধারণ, বিষয়টি ওই যুবক মেনে নিতে চায় না। পরে তিনি মামলা করলে অভিযুক্ত ওই যুবক কোর্টে স্বীকার করে যে, এ বাচ্চা তার। এরপর ঢাকা মেডিক্যালে ডিএনএ টেস্ট করায়, কিন্তু সেখানে কারসাজি করে রিপোর্ট নিয়ে জামিনে বেরিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে শিশুসন্তানের পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে জেলা থানা পুলিশের সহায়তায় ডিএনএ টেস্টের জন্য শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আসেন। এরপর নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন মা ও সন্তান।

 

মামলার তদন্ত দলের এক পুলিশ সদস্য জানান, আসামি নিয়ে এসেছি ডিএনএ প্রোফাইল করার জন্য। নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য নিতে হয় একটি কক্ষে। পরবর্তী পরীক্ষার জন্য চলে যায় ডিএনএ ল্যাবের আরেকটি কক্ষে। এভাবে সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি ধাপ পার করে তবেই আসে চূড়ান্ত ফলাফল। মামলা তদন্তে এই ডিএনএ প্রোফাইলের রিপোর্ট পেতে সময় লাগে। এটা যত দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে, মামলা নিষ্পত্তিও তত দ্রুত করা সম্ভব হবে। ডিএনএ ল্যাব যদি বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে হতো তাহলে দূর থেকে যারা আসছে তাদের সময়টা বেঁচে যেত। সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিনই সারা দেশ থেকে খুন, ধর্ষণ, বাবা-মায়ের পরিচয় নিশ্চিতসহ স্পর্শকাতর অনেক ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটিত হচ্ছে এই ডিএনএ ল্যাবের মাধ্যমে।

 

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, ডিজিটালের এ যুগে সবাই এখন প্রযুক্তি নির্ভরশীল। এ কারণে ক্লুলেস ও পুরোনো জটিল মামলাগুলোর ৯০ শতাংশ রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে। এতে বছরের পর বছর আত্মগোপনে থাকা মামলার প্রকৃত অপরাধীরাও গ্রেপ্তার হচ্ছে। এ কারণে সারা দেশ থেকে আলামত পরীক্ষার চাপও বাড়ছে সিআইডির একমাত্র ডিএনএ ল্যাবের ওপর। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে। একটি মাত্র ডিএনএ ল্যাব হওয়ায় দেশের দূর-দূরান্তের জেলা থেকে ঢাকার সিআইডি সদর দপ্তরে ছুটে আসতে হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরও।

 

মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, র‌্যাপিট অ্যানালাইজার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কাছে যে অ্যানাইজারগুলো আছে তার মাধ্যমে রিপোর্ট পেতে কমপক্ষে ৫-৭ দিন লেগে যায়। সুতরাং র‌্যাপিট অ্যানালাইজার যদি পাওয়া যায় তাহলে আশা করা যাচ্ছে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে জমে থাকা রিপোর্টগুলো সম্পন্ন করা যাবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন যে, বিভাগীয় শহরে ডিএনএ ল্যাব এবং আইটি ফরেনসিক ল্যাব করবেন। আমরা আশাবাদী, এই ল্যাবগুলো বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে যদি স্থাপিত হয়, তাহলে মামলার তদন্তে গতি বাড়বে।

 

 

বর্তমান ডিএনএ ল্যাবটিতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যার যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে কাজের গতি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্পর্শকাতর মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারলে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন না বিচারপ্রার্থীরা। অপরাধীরাও আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না। তারা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে যথাযথ শাস্তিভোগও করবেন বলে মনে করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

ক্লুলেস-জটিল মামলার রহস্যের জট খুলছে ডিএনএ পরীক্ষায়

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

▶ নমুনা পরীক্ষায় চাপ বাড়ছে সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে
▶ রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে ৯০ ভাগ

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হচ্ছে হত্যা-ডাকাতিসহ নানান ধরনের অপরাধ। এর মধ্যে অধিকাংশই থাকে ক্লুলেস। থানায় মামলা হলেও পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে প্রকৃত অপরাধীরা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্পর্শকাতর এসব মামলার বিচার কার্যক্রমও সহসাই শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। ডিজিটালের এ যুগে তদন্তকারী কর্মকর্তারাও স্পর্শকাতর ক্লুলেস ও জটিল মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এর ফলে ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামত পরীক্ষায় চাপ বাড়ছে সিআইডি’র ডিএনএ ল্যাবে। সুফলও পাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। রহস্য উন্মেচিত হচ্ছে ৯০ ভাগ। গ্রেপ্তারও হচ্ছেন প্রকৃত অপরাধীরা। পুলিশ বলছে, বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে ডিএনএ ল্যাব স্থাপন করা গেলে ক্লুলেস ও পুরোনো জটিল মামলার তদন্তে গতি আরো বেড়ে যাবে। এতে ন্যায় বিচার পেতে বঞ্চিত হবে না বিচারপ্রার্থীরা। গতকাল শুক্রবার সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। ঘটছে দুর্ধর্ষ ডাকাতিসহ নানান ধরনের অপরাধ। এসব ঘটনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে না কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ। এমন অনেক ঘটনায় পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় মামলার তদন্তে হিমশিম খান তদন্তকারী কর্মকর্তারাও। বছরের পর বছর তদন্ত করেও কোনো কূল-কিনারা করতে পারেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে ক্লুলেস ও জটিল এসব মামলার পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে প্রকৃত অপরাধীরাও থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় বিজ্ঞ আদালতের বিচারকও স্পর্শকাতর মামলাগুলোর বিচারকার্যক্রম শেষ করতে পারেন না।

 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী এক নারীর নাম লায়লা ইয়াছমিন (ছদ্মনাম)। সম্প্রতি তিনি ঢাকার বাইরের একটি জেলা থেকে ঢাকার মালিবাগের সিআইডি’র প্রধান কার্যালয়ে আসেন। স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় নিজ কোলের শিশু সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় নিশ্চিতের দাবিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডির কার্যালয়ে হাজির হন। ওই নারী জানায়, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তার গর্ভধারণ, বিষয়টি ওই যুবক মেনে নিতে চায় না। পরে তিনি মামলা করলে অভিযুক্ত ওই যুবক কোর্টে স্বীকার করে যে, এ বাচ্চা তার। এরপর ঢাকা মেডিক্যালে ডিএনএ টেস্ট করায়, কিন্তু সেখানে কারসাজি করে রিপোর্ট নিয়ে জামিনে বেরিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে শিশুসন্তানের পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে জেলা থানা পুলিশের সহায়তায় ডিএনএ টেস্টের জন্য শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আসেন। এরপর নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন মা ও সন্তান।

 

মামলার তদন্ত দলের এক পুলিশ সদস্য জানান, আসামি নিয়ে এসেছি ডিএনএ প্রোফাইল করার জন্য। নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য নিতে হয় একটি কক্ষে। পরবর্তী পরীক্ষার জন্য চলে যায় ডিএনএ ল্যাবের আরেকটি কক্ষে। এভাবে সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি ধাপ পার করে তবেই আসে চূড়ান্ত ফলাফল। মামলা তদন্তে এই ডিএনএ প্রোফাইলের রিপোর্ট পেতে সময় লাগে। এটা যত দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে, মামলা নিষ্পত্তিও তত দ্রুত করা সম্ভব হবে। ডিএনএ ল্যাব যদি বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে হতো তাহলে দূর থেকে যারা আসছে তাদের সময়টা বেঁচে যেত। সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিনই সারা দেশ থেকে খুন, ধর্ষণ, বাবা-মায়ের পরিচয় নিশ্চিতসহ স্পর্শকাতর অনেক ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটিত হচ্ছে এই ডিএনএ ল্যাবের মাধ্যমে।

 

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, ডিজিটালের এ যুগে সবাই এখন প্রযুক্তি নির্ভরশীল। এ কারণে ক্লুলেস ও পুরোনো জটিল মামলাগুলোর ৯০ শতাংশ রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে। এতে বছরের পর বছর আত্মগোপনে থাকা মামলার প্রকৃত অপরাধীরাও গ্রেপ্তার হচ্ছে। এ কারণে সারা দেশ থেকে আলামত পরীক্ষার চাপও বাড়ছে সিআইডির একমাত্র ডিএনএ ল্যাবের ওপর। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া নিয়ে। একটি মাত্র ডিএনএ ল্যাব হওয়ায় দেশের দূর-দূরান্তের জেলা থেকে ঢাকার সিআইডি সদর দপ্তরে ছুটে আসতে হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরও।

 

মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, র‌্যাপিট অ্যানালাইজার থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের কাছে যে অ্যানাইজারগুলো আছে তার মাধ্যমে রিপোর্ট পেতে কমপক্ষে ৫-৭ দিন লেগে যায়। সুতরাং র‌্যাপিট অ্যানালাইজার যদি পাওয়া যায় তাহলে আশা করা যাচ্ছে ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে জমে থাকা রিপোর্টগুলো সম্পন্ন করা যাবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন যে, বিভাগীয় শহরে ডিএনএ ল্যাব এবং আইটি ফরেনসিক ল্যাব করবেন। আমরা আশাবাদী, এই ল্যাবগুলো বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ে যদি স্থাপিত হয়, তাহলে মামলার তদন্তে গতি বাড়বে।

 

 

বর্তমান ডিএনএ ল্যাবটিতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যার যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে কাজের গতি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্পর্শকাতর মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারলে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন না বিচারপ্রার্থীরা। অপরাধীরাও আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না। তারা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে যথাযথ শাস্তিভোগও করবেন বলে মনে করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।