০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহেশখালীতে খাস কালেকশনের নামে চলছে হরিলুট!

মহেশখালীর পানবাজারে খাস কালেকশনের নামে চলছে হরিলুট। টোল আদায়ের দৃশ্যমান তালিকা না থাকায় ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ইচ্ছে মতো টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে দেখা মিলে উপজেলার কোথাও  টোল আদায়ের দৃশ্যমান তালিকা চোখে পড়েনি । এতে করে বাজার ইজারাদার’রা ইচ্ছা মতো জুলুম করে যাচ্ছে শ্রমিকদের। এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে হয়রানির শিকার হয় এমনটাই অভিযোগ তাদের।
তথ্য সুত্রে জানা যায়- উপজেলার চালিয়াতলী ও শাপলাপুর পান বাজার প্রশাসন কে আতাঁত করে খাস কালেকশনের নাম দিয়ে
 বিনা ডকুমেন্টে নে মাত্রাতিরিক্ত হালিস/টোল আদায় করছে প্রভাবশালী মহল।
পটিয়া থেকে আসা ক্রেতা মনিরুল আলম  জানান– কালারমারছড়ার চালিয়াতলী  পান বাজারে এসেছি পান কিনতে। মাত্র ৫০ বিরা পানের জন্য  ২০০ টাকা হাসিল নিল ইজারাদারা। “এই কেমন জুলুমবাজি !” অথচ বাজারে ক্রেতাদের থেকে হাসিল নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। বিক্রিতার থেকে নেওয়া হয়। এখানে তাঁর চিত্র উল্টো। তিনি আরও বলেন এই বাজারে বিক্রেতাদের চেয়ে  ক্রেতারা বেশি ভুক্তভোগী। তিন ধাপে চাঁদা দিতে হয় তাদের সিন্ডিকেট’কে ।
শাপলাপুর এলাকার ছাত্র জয়নাল জানান – ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের ফলে, গেল ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এইদেশে আর আমরা নতুন করে জুলুমবাজ সৃষ্টি হতে দিবো না। জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে মহেশখালী ছাত্র সমাজ সবর্দা সজাগ। আমাদের শাপলাপুরে পান বাজারে খাস কালেকশনের নাম দিয়ে আওয়ামী নেতা সহ বিএনপি ও অনন্য দলের কিছু ক্ষমতাশালী লোকদের নিয়ে এখনও চাঁদাবাজি করার পাঁইতারা করে যাচ্ছে।
 কিন্তু তাদের প্রতিহত করতে মহেশখালীর ছাত্র সমাজের শাপলাপুর ইউনিট প্রস্তুত। সরকার রাজস্ব আদায়ের জন্য বাজার নিলাম দিলে ইজারাদারা প্রয়োজনীয় কাগজ-পাতি নিয়ে টোল আদর করতে পারবে। অন্যতাই, কেউ মানুষকে জুলুম করার চিন্তা করলে আমরা ঐক্য ভাবে রুখে দিব।
চালিয়াতলী ইজারাদার নাছির জানান-উপজেলা প্রশাসন থেকে খাস কালেকশন নিয়েছে তাঁরা। পৃর্বের তুলনায় সীমিত আকারে হাসিল নিচ্ছে তাঁরা। তবুও কিছু অনিয়ম হলে তাঁরা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হাসিল আদায় করবেন। যাতে ক্রেতা বিক্রেতারা কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়।
এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মারমার সাথে মুঠোফোনে বার-বার যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ মিলেনি
জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

মহেশখালীতে খাস কালেকশনের নামে চলছে হরিলুট!

আপডেট সময় : ০৭:০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মহেশখালীর পানবাজারে খাস কালেকশনের নামে চলছে হরিলুট। টোল আদায়ের দৃশ্যমান তালিকা না থাকায় ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ইচ্ছে মতো টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে দেখা মিলে উপজেলার কোথাও  টোল আদায়ের দৃশ্যমান তালিকা চোখে পড়েনি । এতে করে বাজার ইজারাদার’রা ইচ্ছা মতো জুলুম করে যাচ্ছে শ্রমিকদের। এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে হয়রানির শিকার হয় এমনটাই অভিযোগ তাদের।
তথ্য সুত্রে জানা যায়- উপজেলার চালিয়াতলী ও শাপলাপুর পান বাজার প্রশাসন কে আতাঁত করে খাস কালেকশনের নাম দিয়ে
 বিনা ডকুমেন্টে নে মাত্রাতিরিক্ত হালিস/টোল আদায় করছে প্রভাবশালী মহল।
পটিয়া থেকে আসা ক্রেতা মনিরুল আলম  জানান– কালারমারছড়ার চালিয়াতলী  পান বাজারে এসেছি পান কিনতে। মাত্র ৫০ বিরা পানের জন্য  ২০০ টাকা হাসিল নিল ইজারাদারা। “এই কেমন জুলুমবাজি !” অথচ বাজারে ক্রেতাদের থেকে হাসিল নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। বিক্রিতার থেকে নেওয়া হয়। এখানে তাঁর চিত্র উল্টো। তিনি আরও বলেন এই বাজারে বিক্রেতাদের চেয়ে  ক্রেতারা বেশি ভুক্তভোগী। তিন ধাপে চাঁদা দিতে হয় তাদের সিন্ডিকেট’কে ।
শাপলাপুর এলাকার ছাত্র জয়নাল জানান – ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের ফলে, গেল ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এইদেশে আর আমরা নতুন করে জুলুমবাজ সৃষ্টি হতে দিবো না। জুলুমবাজদের বিরুদ্ধে মহেশখালী ছাত্র সমাজ সবর্দা সজাগ। আমাদের শাপলাপুরে পান বাজারে খাস কালেকশনের নাম দিয়ে আওয়ামী নেতা সহ বিএনপি ও অনন্য দলের কিছু ক্ষমতাশালী লোকদের নিয়ে এখনও চাঁদাবাজি করার পাঁইতারা করে যাচ্ছে।
 কিন্তু তাদের প্রতিহত করতে মহেশখালীর ছাত্র সমাজের শাপলাপুর ইউনিট প্রস্তুত। সরকার রাজস্ব আদায়ের জন্য বাজার নিলাম দিলে ইজারাদারা প্রয়োজনীয় কাগজ-পাতি নিয়ে টোল আদর করতে পারবে। অন্যতাই, কেউ মানুষকে জুলুম করার চিন্তা করলে আমরা ঐক্য ভাবে রুখে দিব।
চালিয়াতলী ইজারাদার নাছির জানান-উপজেলা প্রশাসন থেকে খাস কালেকশন নিয়েছে তাঁরা। পৃর্বের তুলনায় সীমিত আকারে হাসিল নিচ্ছে তাঁরা। তবুও কিছু অনিয়ম হলে তাঁরা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে হাসিল আদায় করবেন। যাতে ক্রেতা বিক্রেতারা কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়।
এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মারমার সাথে মুঠোফোনে বার-বার যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ মিলেনি