১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীবগঞ্জে পেঁয়াজ বীজের বাম্পর ফলন

দিনাজপুরের বীবগঞ্জ উপজেলায় পেঁয়াজ বীজের বাম্পর ফলন হয়েছে। পেঁয়াজের বীজের আরেক নাম ‘কালো সোনা’। সারাদেশে পেঁয়াজ বীজের চাহিদার ৪০ শতাংশ যোগান দেয় বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে। চলতি মৌসুমে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার আশা করছে কৃষকগণ। পেঁয়াজের বীজ পরিচর্যা ও পরাগায়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। পেঁয়াজের সাদা কদম শুকিয়ে বের হয় কালো বীজ, যার বাজার দর আকাশছোঁয়া। পেঁয়াজ বীজকে বলা হয় ‘কালো সোনা’। দিনে দিনে পেঁয়াজ বীজের চাষ বেড়েছে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। উপজেলার পলাশবাড়ী, শিবরামপুর ও পাল্টাপুর ইউনিয়নের উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ গুণ ও মানে ভাল। এখানকার পেঁয়াজের বীজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। অনেক কৃষক পেঁয়াজ বীজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বীরগঞ্জ উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ছাড়িয়ে ১৫১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ হয়েছে। এর মধ্যে বীজের চাষ হয়েছে ৮ হেক্টরের বেশি জমিতে। পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বরবাড়ী গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। গত বছর বীজ উৎপাদন করে প্রায় ৯ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন। জমি চাষ, বীজ, রোপণ খরচ, সার, কীটনাশক, সেচ, নিড়ানি, বাঁশ-সুতলি ইত্যাদি মিলিয়ে প্রতি বিঘায় খরচ দাঁড়াবে প্রায় এক লক্ষ টাকা। তবে প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ২৮ কেজি বীজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে কৃষকরা নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে। উৎপাদিত বীজ প্যাকেটজাত করে সীড সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে বীজ ব্যবস্থাপনা ও বিপণনে কৃষকরা ভূমিকা রাখছেন।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

বীবগঞ্জে পেঁয়াজ বীজের বাম্পর ফলন

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

দিনাজপুরের বীবগঞ্জ উপজেলায় পেঁয়াজ বীজের বাম্পর ফলন হয়েছে। পেঁয়াজের বীজের আরেক নাম ‘কালো সোনা’। সারাদেশে পেঁয়াজ বীজের চাহিদার ৪০ শতাংশ যোগান দেয় বীরগঞ্জ উপজেলা থেকে। চলতি মৌসুমে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার আশা করছে কৃষকগণ। পেঁয়াজের বীজ পরিচর্যা ও পরাগায়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। পেঁয়াজের সাদা কদম শুকিয়ে বের হয় কালো বীজ, যার বাজার দর আকাশছোঁয়া। পেঁয়াজ বীজকে বলা হয় ‘কালো সোনা’। দিনে দিনে পেঁয়াজ বীজের চাষ বেড়েছে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। উপজেলার পলাশবাড়ী, শিবরামপুর ও পাল্টাপুর ইউনিয়নের উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ গুণ ও মানে ভাল। এখানকার পেঁয়াজের বীজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। অনেক কৃষক পেঁয়াজ বীজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বীরগঞ্জ উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ছাড়িয়ে ১৫১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ হয়েছে। এর মধ্যে বীজের চাষ হয়েছে ৮ হেক্টরের বেশি জমিতে। পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বরবাড়ী গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। গত বছর বীজ উৎপাদন করে প্রায় ৯ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন। জমি চাষ, বীজ, রোপণ খরচ, সার, কীটনাশক, সেচ, নিড়ানি, বাঁশ-সুতলি ইত্যাদি মিলিয়ে প্রতি বিঘায় খরচ দাঁড়াবে প্রায় এক লক্ষ টাকা। তবে প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ২৮ কেজি বীজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে কৃষকরা নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছে। উৎপাদিত বীজ প্যাকেটজাত করে সীড সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে বীজ ব্যবস্থাপনা ও বিপণনে কৃষকরা ভূমিকা রাখছেন।