০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারামুক্ত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এটিএম আজহারুল ইসলাম

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কারামুক্ত হওয়ার পরেই শাহবাগ মোড়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজেকে ‘মুক্ত’ ও ‘স্বাধীন’ বলে ঘোষণা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক ব্লক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শাহবাগ মোড়ে দলের আয়োজিত সংবর্ধনায় অংশ নেন তিনি। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাধীন।’
আজহারের মতে, তার মুক্তির পথ তৈরি হয়েছে গত বছরের ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ এর মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘যাদের কারণে আজকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, সেই ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্টের মহাবিপ্লবী নায়কদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ছাত্রসমাজই রাজপথে রক্ত ঢেলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে।’
দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর কারাভোগের পর জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধের মামলায় আপিল বিভাগে খালাস পান। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এর আগে তিনি ২০১২ সালের ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন এবং ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।
শাহবাগ মোড়ে বানানো অস্থায়ী মঞ্চে আয়োজিত সংবর্ধনায় আজহার বলেন, ‘আমি সর্বপ্রথম আমাদের মহান আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আজ সত্যিকারের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। অতীতে আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আদালত জনগণের আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।’
তিনি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকেও কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, ‘তারা জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলেই আজ আমরা এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি।’ কারাগারে থাকা সময়ের সহযোদ্ধাদের স্মরণ করে আজহার বলেন, ‘‘আমি দুঃখের সঙ্গে স্মরণ করছি, আমার যেসব নেতাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ করা হয়েছে। আমি চাই, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক।”
কারামুক্তির পর জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা ফুল দিয়ে আজহারকে বরণ করে নেন। সকাল থেকেই হাসপাতালে ও শাহবাগ এলাকায় ছিল জামায়াত কর্মীদের উপস্থিতি।
এমআর/সব

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে বাড়ছে রোগ-বালাই

কারামুক্ত হয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এটিএম আজহারুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৫:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কারামুক্ত হওয়ার পরেই শাহবাগ মোড়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজেকে ‘মুক্ত’ ও ‘স্বাধীন’ বলে ঘোষণা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক ব্লক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শাহবাগ মোড়ে দলের আয়োজিত সংবর্ধনায় অংশ নেন তিনি। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাধীন।’
আজহারের মতে, তার মুক্তির পথ তৈরি হয়েছে গত বছরের ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ এর মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘যাদের কারণে আজকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, সেই ৩৬ জুলাই বা ৫ আগস্টের মহাবিপ্লবী নায়কদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ছাত্রসমাজই রাজপথে রক্ত ঢেলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে।’
দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর কারাভোগের পর জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধের মামলায় আপিল বিভাগে খালাস পান। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এর আগে তিনি ২০১২ সালের ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন এবং ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।
শাহবাগ মোড়ে বানানো অস্থায়ী মঞ্চে আয়োজিত সংবর্ধনায় আজহার বলেন, ‘আমি সর্বপ্রথম আমাদের মহান আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আজ সত্যিকারের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। অতীতে আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আদালত জনগণের আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।’
তিনি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকেও কৃতজ্ঞতা জানান। বলেন, ‘তারা জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলেই আজ আমরা এই অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি।’ কারাগারে থাকা সময়ের সহযোদ্ধাদের স্মরণ করে আজহার বলেন, ‘‘আমি দুঃখের সঙ্গে স্মরণ করছি, আমার যেসব নেতাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ করা হয়েছে। আমি চাই, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক।”
কারামুক্তির পর জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা ফুল দিয়ে আজহারকে বরণ করে নেন। সকাল থেকেই হাসপাতালে ও শাহবাগ এলাকায় ছিল জামায়াত কর্মীদের উপস্থিতি।
এমআর/সব