০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলার প্রতিবাদে রামপুরা ব্রিজে সড়ক অবরোধ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে সড়ক অবরোধ করেছেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয় দেওয়া ১৫-২০ জন তরুণ। এই অবরোধের কারণে বাড্ডা-রামপুরা সড়কের দু’পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, ফলে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সড়ক অবরোধকারী তরুণদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের দফায় দফায় তর্ক-বিতর্ক হতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষ অভিযোগ করছেন, গোপালগঞ্জের ঘটনার জেরে ঢাকাবাসীকে এভাবে হয়রানি করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অবরোধ চলাকালীন সময়ে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকেই গোপালগঞ্জ ছিল উত্তপ্ত। দিনের শুরুতেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-এর গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে ভাঙচুর এবং পরে পদযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে ধরে হামলার চেষ্টা করে। চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এনসিপির নেতা–কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সক্ষম হন।
এই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

গোপালগঞ্জে এনসিপির ওপর হামলার প্রতিবাদে রামপুরা ব্রিজে সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে সড়ক অবরোধ করেছেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয় দেওয়া ১৫-২০ জন তরুণ। এই অবরোধের কারণে বাড্ডা-রামপুরা সড়কের দু’পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, ফলে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সড়ক অবরোধকারী তরুণদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের দফায় দফায় তর্ক-বিতর্ক হতে দেখা গেছে। সাধারণ মানুষ অভিযোগ করছেন, গোপালগঞ্জের ঘটনার জেরে ঢাকাবাসীকে এভাবে হয়রানি করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অবরোধ চলাকালীন সময়ে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার সকাল থেকেই গোপালগঞ্জ ছিল উত্তপ্ত। দিনের শুরুতেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-এর গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে ভাঙচুর এবং পরে পদযাত্রায় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এনসিপির সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে ধরে হামলার চেষ্টা করে। চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এনসিপির নেতা–কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সক্ষম হন।
এই চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমআর/সবা