০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর জলাবদ্ধতায় এবার রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্ক,সতর্কবার্তা

অসময়ের রেকর্ড পরিমান বর্ষণে রাজশাহী মহানগরীসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক এলাকা এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এরইমধ্যে
রাজশাহী মহানগরীর সপুরা এলাকাসহ বেশকিছু এলাকায় বিষাক্ত সাপ রাসেল ভাইপার দেখতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া উপজেলাগুলো থেকে রাসেল ভাইপার উদ্ধারও হচ্ছে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সর্তক থাকার আহ্বান
জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী সাপ উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস রোমন জানান, বৃষ্টি ও পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে
জেলার বিভিন্ন জায়গাসহ উদ্বেগজনকভাবে মহানগরীর বেশকিছু এলাকাতে রাসেল ভাইপার সাপের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তিনদিন আগে
গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলি থেকে একটি রাসেল ভাইপার উদ্ধারও করা হয়েছে। নগরীতে এ পর্যন্ত যতগুলো রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে,
সবগুলোই পদ্মা নদীর পাড় থেকে সর্বোচ্চ ২০০ মিটার এর মধ্যেই ছিল। গত বৃহস্পতিবারও নগরীর সপুরা সিল্ক পল্লী এলাকায় রাসেল ভাইপার দেখা গেছে।
গত দু’দিনের বৃষ্টির পানিতে ভেসে, পদ্মা পাড়ের রাসেলস ভাইপার, রাজশাহী নগরীর ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পানি নেমে গেলেও রাসেলস ভাইপার সাপ শহরের মধ্যে থেকে যাবে। এতে করে রাজশাহী শহরের ছিন্নমূল শিশুসহ, সাধারণ মানুষ
আক্রান্ত হতে পারে। যে সকল নগরবাসী পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন বা চলাচলে বা কোনো কিছু আসবাবপত্রে হাত দেয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা
জরুরি।
বোরহান বিশ্বাস রোমন আরও জানান, শহরের মধ্যে চন্দ্রবোড়া সাপ দেখতে পেলে, না মেরে স্থানীয় বন বিভাগসহ তাদের জানালে, তারা সাপ নিরাপদে
উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন। আর এখন অন্ধকারে পথ না চলা, রাতে শোয়ার সময় বিছানা নিরাপদ স্থানে রাখা, মশারি টাঙানোসহ গাদাগাদি করে এক
জায়গায় রাখা জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করতে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানান। এছাড়া সাপ কাটলে ওঝা বা কবিরাজের কাছে না গিয়ে
দ্রুত রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহীর পরিদর্শক জাহাঙ্গীর বারি জানান, বাজেট স্বল্পতার কারণে এবার সচেতনতায় সরাসরি কোনো কর্মসূচি নেয়া যাচ্ছে না। তবে অনলাইনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া বিগত সময়ের সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলোও কাজে দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত তেমন বড় কোনো ঘটনা ঘটে নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

রাজশাহীর জলাবদ্ধতায় এবার রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্ক,সতর্কবার্তা

আপডেট সময় : ০২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

অসময়ের রেকর্ড পরিমান বর্ষণে রাজশাহী মহানগরীসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক এলাকা এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এরইমধ্যে
রাজশাহী মহানগরীর সপুরা এলাকাসহ বেশকিছু এলাকায় বিষাক্ত সাপ রাসেল ভাইপার দেখতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া উপজেলাগুলো থেকে রাসেল ভাইপার উদ্ধারও হচ্ছে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সর্তক থাকার আহ্বান
জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহী সাপ উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ভেনম রিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস রোমন জানান, বৃষ্টি ও পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে
জেলার বিভিন্ন জায়গাসহ উদ্বেগজনকভাবে মহানগরীর বেশকিছু এলাকাতে রাসেল ভাইপার সাপের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তিনদিন আগে
গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলি থেকে একটি রাসেল ভাইপার উদ্ধারও করা হয়েছে। নগরীতে এ পর্যন্ত যতগুলো রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে,
সবগুলোই পদ্মা নদীর পাড় থেকে সর্বোচ্চ ২০০ মিটার এর মধ্যেই ছিল। গত বৃহস্পতিবারও নগরীর সপুরা সিল্ক পল্লী এলাকায় রাসেল ভাইপার দেখা গেছে।
গত দু’দিনের বৃষ্টির পানিতে ভেসে, পদ্মা পাড়ের রাসেলস ভাইপার, রাজশাহী নগরীর ভেতরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পানি নেমে গেলেও রাসেলস ভাইপার সাপ শহরের মধ্যে থেকে যাবে। এতে করে রাজশাহী শহরের ছিন্নমূল শিশুসহ, সাধারণ মানুষ
আক্রান্ত হতে পারে। যে সকল নগরবাসী পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন বা চলাচলে বা কোনো কিছু আসবাবপত্রে হাত দেয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা
জরুরি।
বোরহান বিশ্বাস রোমন আরও জানান, শহরের মধ্যে চন্দ্রবোড়া সাপ দেখতে পেলে, না মেরে স্থানীয় বন বিভাগসহ তাদের জানালে, তারা সাপ নিরাপদে
উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন। আর এখন অন্ধকারে পথ না চলা, রাতে শোয়ার সময় বিছানা নিরাপদ স্থানে রাখা, মশারি টাঙানোসহ গাদাগাদি করে এক
জায়গায় রাখা জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করতে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানান। এছাড়া সাপ কাটলে ওঝা বা কবিরাজের কাছে না গিয়ে
দ্রুত রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহীর পরিদর্শক জাহাঙ্গীর বারি জানান, বাজেট স্বল্পতার কারণে এবার সচেতনতায় সরাসরি কোনো কর্মসূচি নেয়া যাচ্ছে না। তবে অনলাইনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়া বিগত সময়ের সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলোও কাজে দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত তেমন বড় কোনো ঘটনা ঘটে নি।