০১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাইলস্টোন বিমান বিধ্বস্ত, বিমান নিয়ে এখনো ভয়-আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সেই বিভীষিকাময় দুপুর পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। তবে স্মৃতি এখনো ছাত্র, শিক্ষক আর অভিভাবকদের তাড়া করে ফিরছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের ভয়-আতঙ্ক এখনো কাটেনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে এসে ভাঙা দেওয়াল আর পোড়াগাছ দেখেও আঁতকে উঠছেন অনেক শিক্ষার্থী। দ্রুত ক্যাম্পাস এলাকা ত্যাগ করতে পীড়াপীড়ি শুরু করে তারা। ক্যাম্পাসের কাউন্সেলিং সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহিদ সাবির বলে, ‘ঘটনার পর তিন বার স্কুলে এসেছি। এখানে এলেই বিমানের বিকট শব্দ কানে আসছে আর কলিজাটা কেঁপে উঠছে।’ চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুহান হোসেন বলে, ‘বিমানের শব্দ শুনলেই মনে হচ্ছে মাথায় এসে পড়বে, মনে হচ্ছে পালাই।’ শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ ট্রমায় যাওয়ায় এবার বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় চিকিৎসা ক্যাম্প ও কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ছুটি বাড়িয়ে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ছুটি বাড়ল।
মাইলস্টোনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার পর এখনও ভয়ে-আতঙ্কে শিউরে উঠছে শিক্ষার্থীরা। তাদের সামনে ভাসছে সেই দুর্বিষহ স্মৃতি। কাছের বন্ধুদের চিরদিনের জন্য হারিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকে বাকহীন। অসুস্থতা আর অস্বাভাবিক আচরণে দিন কাটাচ্ছে অনেকে। শিক্ষার্থীদের এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে সেখানে বিশেষ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দ্বারা পরিচালিত সাত দিনব্যাপী অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প। ওই ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। বিমানবাহিনী ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করতে বুথ বসিয়েছে কিছু বেসরকারি সংস্থাও।
ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্সেলিং সেন্টারের সামনে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবক ও স্বজনদের নিয়ে অপেক্ষা করছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের একেক জনকে ঘণ্টাব্যাপী কাউন্সেলিং করতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে মানসিক অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে ওই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী তামজিদুল ইসলাম মাসরুর (১০)। তার মা নিলুফা আক্তার বলেন, ঘটনার দিন আগেই স্কুল ছুটি হয়ে যায়। আমি যখন ছেলেকে নিয়ে স্কুল গেট থেকে বের হলাম, তখনই বিমানটা পড়লো। বের হওয়ার কারণে আমরা বেঁচে গেছি। মাসরুর তার বন্ধু আরিয়ানকে হারিয়েছে। এসব ভেবে সে এখন ভয় পাই। ফোন হাতে নিলেই সে অস্বস্তি বোধ করে। তাই আজ তাকে কাউন্সেলিং সেন্টারে নিয়ে আসলাম। তাকে কাউন্সেলিং করা হয়েছে। ধীরে ধীরে যদি তার ট্রমা কাটে, এখন সেটাই ভাবছি। স্কুলে কাউন্সেলিং নিতে আসা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী চৌধুরী রেজুয়ান বিন বদরুল বলেন, ঘটনার পর আজই স্কুলে আসছি। আমরা আরও পাঁচ জন বন্ধুর আসছে। আমরা একসঙ্গে বসেছি। আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের জন্য দোয়া করছি। আমরা যেন এখন ভালো থাকতে পারি সে জন্য ওই ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। মনে করতে চাই না। দায়িত্বরত বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিতে আলাদা আলাদা কাউন্সেলিং বুথ বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। যারা ছোটখাটো আঘাত পেয়েছে কিংবা যাদের ড্রেসিং প্রয়োজন তাদের ড্রেসিং করানো হচ্ছে। যেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বা কাউন্সেলিং করতে আসা অনেকে প্রয়োজনে হলে সিএমএইচও পাঠানো হচ্ছে। সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি ট্রমার মধ্যে রয়েছে বা মাইন্ড ইনজুরি আছে, তাদের আলাদা বুথে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাউন্সেলিং করতে দেখা গেছে। বিমানবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সাত দিনের অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পে ৩১ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত মোট ৬২৬ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সেবা ও কাউন্সেলিং করা হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন ১১৮ জন, দ্বিতীয় দিন ২০০ জন, তৃতীয় দিন ১৭২ জন এবং চতুর্থ দিনে ১৩৬ জন শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত এই কাউন্সেলিং সেবা চলবে। এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে বুথ বসিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক আইইডি)। এই কাউন্সেলিং বুথে ৩১ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এ বুথে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে কাউন্সেলিং করা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শাহপার নেওয়াজ বলেন, কাউন্সেলিং নিতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, কেউ একটু বেশি ভয় পেয়েছে, আবার কেউ কেউ একটু কম। আমরা তাদের পরিস্থিতি মাইন্ড বুঝেই কাউন্সেলিং করছি। দীর্ঘ সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে। একেক জনকে একেক রকম ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এডমিন ভবনের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী ৫ আগস্ট স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনও নিশ্চিত নই। স্কুলের কার্যক্রম এখন শুরু হয়নি। তবে ক্লাস নাইন একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩ তারিখ থেকে। বাকি ক্লাসগুলো বিষয়ে আলোচনা চলছে। কারণ অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখন ট্রমার মধ্যে আছে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

মাইলস্টোন বিমান বিধ্বস্ত, বিমান নিয়ে এখনো ভয়-আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৭:১৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সেই বিভীষিকাময় দুপুর পেরিয়ে গেছে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। তবে স্মৃতি এখনো ছাত্র, শিক্ষক আর অভিভাবকদের তাড়া করে ফিরছে। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের ভয়-আতঙ্ক এখনো কাটেনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে এসে ভাঙা দেওয়াল আর পোড়াগাছ দেখেও আঁতকে উঠছেন অনেক শিক্ষার্থী। দ্রুত ক্যাম্পাস এলাকা ত্যাগ করতে পীড়াপীড়ি শুরু করে তারা। ক্যাম্পাসের কাউন্সেলিং সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাহিদ সাবির বলে, ‘ঘটনার পর তিন বার স্কুলে এসেছি। এখানে এলেই বিমানের বিকট শব্দ কানে আসছে আর কলিজাটা কেঁপে উঠছে।’ চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নুহান হোসেন বলে, ‘বিমানের শব্দ শুনলেই মনে হচ্ছে মাথায় এসে পড়বে, মনে হচ্ছে পালাই।’ শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ ট্রমায় যাওয়ায় এবার বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় চিকিৎসা ক্যাম্প ও কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ছুটি বাড়িয়ে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় ছুটি বাড়ল।
মাইলস্টোনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার পর এখনও ভয়ে-আতঙ্কে শিউরে উঠছে শিক্ষার্থীরা। তাদের সামনে ভাসছে সেই দুর্বিষহ স্মৃতি। কাছের বন্ধুদের চিরদিনের জন্য হারিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকে বাকহীন। অসুস্থতা আর অস্বাভাবিক আচরণে দিন কাটাচ্ছে অনেকে। শিক্ষার্থীদের এই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে সেখানে বিশেষ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চলছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দ্বারা পরিচালিত সাত দিনব্যাপী অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প। ওই ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। বিমানবাহিনী ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করতে বুথ বসিয়েছে কিছু বেসরকারি সংস্থাও।
ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্সেলিং সেন্টারের সামনে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবক ও স্বজনদের নিয়ে অপেক্ষা করছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের একেক জনকে ঘণ্টাব্যাপী কাউন্সেলিং করতে দেখা গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে মানসিক অস্বস্তিতে দিন কাটাচ্ছে ওই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী তামজিদুল ইসলাম মাসরুর (১০)। তার মা নিলুফা আক্তার বলেন, ঘটনার দিন আগেই স্কুল ছুটি হয়ে যায়। আমি যখন ছেলেকে নিয়ে স্কুল গেট থেকে বের হলাম, তখনই বিমানটা পড়লো। বের হওয়ার কারণে আমরা বেঁচে গেছি। মাসরুর তার বন্ধু আরিয়ানকে হারিয়েছে। এসব ভেবে সে এখন ভয় পাই। ফোন হাতে নিলেই সে অস্বস্তি বোধ করে। তাই আজ তাকে কাউন্সেলিং সেন্টারে নিয়ে আসলাম। তাকে কাউন্সেলিং করা হয়েছে। ধীরে ধীরে যদি তার ট্রমা কাটে, এখন সেটাই ভাবছি। স্কুলে কাউন্সেলিং নিতে আসা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী চৌধুরী রেজুয়ান বিন বদরুল বলেন, ঘটনার পর আজই স্কুলে আসছি। আমরা আরও পাঁচ জন বন্ধুর আসছে। আমরা একসঙ্গে বসেছি। আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের জন্য দোয়া করছি। আমরা যেন এখন ভালো থাকতে পারি সে জন্য ওই ঘটনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। মনে করতে চাই না। দায়িত্বরত বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিতে আলাদা আলাদা কাউন্সেলিং বুথ বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। যারা ছোটখাটো আঘাত পেয়েছে কিংবা যাদের ড্রেসিং প্রয়োজন তাদের ড্রেসিং করানো হচ্ছে। যেখানে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বা কাউন্সেলিং করতে আসা অনেকে প্রয়োজনে হলে সিএমএইচও পাঠানো হচ্ছে। সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি ট্রমার মধ্যে রয়েছে বা মাইন্ড ইনজুরি আছে, তাদের আলাদা বুথে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাউন্সেলিং করতে দেখা গেছে। বিমানবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সাত দিনের অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পে ৩১ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত মোট ৬২৬ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা সেবা ও কাউন্সেলিং করা হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন ১১৮ জন, দ্বিতীয় দিন ২০০ জন, তৃতীয় দিন ১৭২ জন এবং চতুর্থ দিনে ১৩৬ জন শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত এই কাউন্সেলিং সেবা চলবে। এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে বুথ বসিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক আইইডি)। এই কাউন্সেলিং বুথে ৩১ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। এ বুথে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে কাউন্সেলিং করা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শাহপার নেওয়াজ বলেন, কাউন্সেলিং নিতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, কেউ একটু বেশি ভয় পেয়েছে, আবার কেউ কেউ একটু কম। আমরা তাদের পরিস্থিতি মাইন্ড বুঝেই কাউন্সেলিং করছি। দীর্ঘ সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে। একেক জনকে একেক রকম ট্রিটমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এডমিন ভবনের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী ৫ আগস্ট স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনও নিশ্চিত নই। স্কুলের কার্যক্রম এখন শুরু হয়নি। তবে ক্লাস নাইন একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩ তারিখ থেকে। বাকি ক্লাসগুলো বিষয়ে আলোচনা চলছে। কারণ অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখন ট্রমার মধ্যে আছে।