১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আনিসুল হকের বান্ধবী তৌফিকা করিমের ১১৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তৌফিকা করিমের ১১৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

এসব অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেন হয়েছে ৬৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এসব ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেন সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ইউনিটের উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী ছিলেন। তিনি আইনমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতে আসামি জামিন, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলির তদবিরসহ নানা অপকর্ম করে অর্থ উপার্জন করেন। উপার্জিত অর্থ দ্বারা ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয় করাসহ বিদেশে অর্থপাচার করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করায় তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ১১৪টি ব্যাংক ব্যাংক জব্দ করা হয়।

ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধভাবে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করেছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২ (শ) (২৬) ও (১৪) ধারা মতে সম্পৃক্ত অপরাধ। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক ওই অ্যাকাউন্টগুলো স্থায়ী অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

শুনানি শেষে বিচারক এসব ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।

এর আগেও তৌফিকা করিমের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

আনিসুল হকের বান্ধবী তৌফিকা করিমের ১১৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৯:০২:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তৌফিকা করিমের ১১৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।

এসব অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেন হয়েছে ৬৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
এসব ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করেন সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ইউনিটের উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী ছিলেন। তিনি আইনমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতে আসামি জামিন, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলির তদবিরসহ নানা অপকর্ম করে অর্থ উপার্জন করেন। উপার্জিত অর্থ দ্বারা ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয় করাসহ বিদেশে অর্থপাচার করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করায় তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ১১৪টি ব্যাংক ব্যাংক জব্দ করা হয়।

ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধভাবে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করেছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২ (শ) (২৬) ও (১৪) ধারা মতে সম্পৃক্ত অপরাধ। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক ওই অ্যাকাউন্টগুলো স্থায়ী অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

শুনানি শেষে বিচারক এসব ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।

এর আগেও তৌফিকা করিমের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

এমআর/সবা