খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতি চতুর্থ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি। সর্বত্র বিরাজ করছে থমথমে পরিবেশ। জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকা মহাসড়কসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শতাধিক মালবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে। তবে নতুন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক পাহাড়ি স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রোববার গুইমারায় সহিংসতায় তিন পাহাড়ি নিহত হন, আহত হন সেনা সদস্যসহ অনেকে। বহু ঘরবাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আজও শহর ও গুইমারার অধিকাংশ দোকানপাট খোলা হয়নি, সীমিতসংখ্যক ইজিবাইক ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ। নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ টহল দিচ্ছে।

গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, নিহত তিনজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং রাতে তাদের দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর ও গুইমারা উপজেলায় জারি থাকা ১৪৪ ধারা এখনো বহাল রয়েছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

আজ সকালে সেনানিবাসে প্রেসব্রিফিংয়ে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, “সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অপপ্রচার ও উসকানির মধ্যেও আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও শান্তি রক্ষায় সবকিছু করব।” তিনি অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফ আন্দোলনে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে এবং সবার প্রতি আহ্বান জানান, দেশের স্বার্থে অবরোধ প্রত্যাহার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।
এমআর/সবা


























