নওগাঁর বদলগাছীতে হাঁস মারাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল লতিফ (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত লতিফ পেশায় একজন ট্রাক চালক এবং তিনি সদর ইউনিয়নের পিন্ডিরা গ্রামের (বদলগাছী মহিলা কলেজ সংলগ্ন) মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন (সোমবার) লতিফের একটি হাঁস ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে আহত হয়। আহত হাঁসটি লতিফের পরিবার জবাই করে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১১টায় একই ইউনিয়নের সোহাসা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ভ্যান চালক সবুজ হোসেন লতিফের বাড়িতে আসে। লতিফের পরিবারের সদস্যরা সবুজকে হাঁস মারার জন্য কৈফিয়ত তলব করেন এবং জরিমানা দাবি করেন। এর পর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় জবাই করা হাঁসের মাংস ভ্যান চালককে দিয়ে সমমানের একটি কিনে দিতে বলেন।
পরবর্তীতে সবুজের বাড়িতে ঘটনা জানাজানি হলে তার পিতা আব্দুল জলিল, মা আদরী খাতুন ও ভাই শাকিল হোসেন পুনরায় দুপুর আনুমানিক ১টায় লতিফের বাড়িতে এসে সংঘর্ষে জড়ান। স্থানীয়রা উভয় পক্ষকে আলাদা করে শান্ত করেন।
সংঘর্ষের কিছুক্ষণ পর লতিফ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্বজনরা বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার গুরুতরতা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল আড়াইটার দিকে লতিফের মৃত্যু হয়। মরদেহ বর্তমানে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বদলগাছী থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা হলো সবুজ হোসেন (৩০), শাকিল হোসেন (৩৪), আব্দুল জলিল (৫৫) ও আদরী খাতুন (৪০)। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী আদরী খাতুনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এমআর/সবা





















