পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো আজ বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপে শুরু হয় দেবী দুর্গার পূজা-অর্চনা। দুপুরের পর থেকে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা আর বেদনার মিশ্র আবহে মহানগরীর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিদায় জানান দেবী দুর্গাকে।
হাজারো ভক্তের ঢল নামে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, কর্ণফুলী নদী ও বিভিন্ন বিসর্জনস্থলে। ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি আর আনন্দ-উল্লাসে ভাস্বর হয়ে ওঠে পুরো নগরী। প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই অংশ নেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এবার নগরীর ২৯২টি এবং জেলার ১ হাজার ৬১৪টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির জয়ে দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। বিজয়া দশমীতে দেবীর বিদায়ের মধ্য দিয়ে মানুষ নতুন উদ্দীপনায়, নতুন প্রত্যয়ে মন্দির, মণ্ডপ এবং ঘরে ঘরে আহ্বান জানায় শুভ শক্তিকে।

দেবীর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় প্রিয়জনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, “শুভ বিজয়া” জানানো ও মিষ্টি বিতরণ। নগরীর অলিগলিতে, পরিবার-পরিজন ও বন্ধু মহলে ভেসে ওঠে বিজয়ার আনন্দ আর মিলনমেলা।
এভাবেই বেদনা আর আনন্দের মিশ্রণে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
এমআর/সবা





















