০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এলাকায় আতঙ্ক

গাইবান্ধায় এক গ্রামেই ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক গ্রামে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা সবাই রোগাক্রান্ত গরু জবাইয়ের পর মাংস কাটাকাটির কাজে যুক্ত ছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসাধীন।

সবাই উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের বাসিন্দা। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজার রহমান জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মন্টু মেম্বারের বড় ভাই মাহবুর রহমানের রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে ১১ জন মাংস কাটাকাটিতে অংশ নেন। চার দিন পর ২ অক্টোবর তাদের শরীরে ফোসকা ও মাংসে পচন দেখা দেয়—বিশেষ করে হাত, নাক, মুখ ও চোখে। গুরুতর অবস্থায় মো. মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, মো. শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমানকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক জানান, বেলকা ইউনিয়ন থেকে কয়েকজন অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, পৌরসভায় দুটি গরু অ্যানথ্রাক্সে মারা গেছে এবং সাহাবাজ এলাকায় টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের কাছে ১৩ হাজার টিকা মজুত আছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাশের পীরগাছা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গবাদিপশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব ছিল। বর্তমানে রোগটি সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা ও পৌরসভা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

এলাকায় আতঙ্ক

গাইবান্ধায় এক গ্রামেই ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ

আপডেট সময় : ০৪:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক গ্রামে ১১ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা সবাই রোগাক্রান্ত গরু জবাইয়ের পর মাংস কাটাকাটির কাজে যুক্ত ছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসাধীন।

সবাই উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামের বাসিন্দা। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হাফিজার রহমান জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মন্টু মেম্বারের বড় ভাই মাহবুর রহমানের রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে ১১ জন মাংস কাটাকাটিতে অংশ নেন। চার দিন পর ২ অক্টোবর তাদের শরীরে ফোসকা ও মাংসে পচন দেখা দেয়—বিশেষ করে হাত, নাক, মুখ ও চোখে। গুরুতর অবস্থায় মো. মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, মো. শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমানকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক জানান, বেলকা ইউনিয়ন থেকে কয়েকজন অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, পৌরসভায় দুটি গরু অ্যানথ্রাক্সে মারা গেছে এবং সাহাবাজ এলাকায় টিকা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাদের কাছে ১৩ হাজার টিকা মজুত আছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাশের পীরগাছা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গবাদিপশুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব ছিল। বর্তমানে রোগটি সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, তারাপুর, বেলকা ও পৌরসভা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এমআর/সবা