০২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা ও চিমিতং পূজা উদযাপন

রাঙ্গামাটি, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ – রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার রাজবন বিহার আজ মুখরিত হয়ে উঠেছে আলোকময় প্রবারণা পূর্ণিমা ও ঐতিহ্যবাহী চিমিতং পূজার পবিত্র আবহে। উপাসক-উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদ ও পুণ্যার্থীবৃন্দের সম্মিলিত উদ্যোগে বিহার প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করেছে।

প্রধান অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে বিহার আলোকিত করা এবং বিশ্বশান্তি প্যাগোডায় অর্থদান। উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোছাইন ও প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

বৌদ্ধ ধর্মমতে প্রবারণা পূর্ণিমা হলো আত্মশুদ্ধি ও পাপমুক্তির বিশেষ তিথি, যেখানে কঠিন চীবর দানসহ বিভিন্ন দানীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়। চিমিতং পূজা বা আকাশ প্রদীপ পূজা হলো হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে আকাশে উড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বকে আলোকিত করার প্রতীক।

পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। রাঙ্গামাটি শান্তি ও সম্প্রীতির এক লীলাভূমি।” জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ সকলকে প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

হাজার প্রদীপের আলোয় যখন বিহারের চারপাশ আলোকিত হয়, তখন সৃষ্টি হয় অপার্থিব শান্তিময় পরিবেশ। শত শত পুণ্যার্থীর উপস্থিতি প্রমাণ করে, রাঙ্গামাটির মাটি সব ধর্মের মানুষের মিলনক্ষেত্র। উৎসবের মাধ্যমে সকলেই সম্মিলিতভাবে বিশ্বশান্তি কামনা করেন এবং দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা ও চিমিতং পূজা উদযাপন

আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

রাঙ্গামাটি, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ – রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার রাজবন বিহার আজ মুখরিত হয়ে উঠেছে আলোকময় প্রবারণা পূর্ণিমা ও ঐতিহ্যবাহী চিমিতং পূজার পবিত্র আবহে। উপাসক-উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদ ও পুণ্যার্থীবৃন্দের সম্মিলিত উদ্যোগে বিহার প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করেছে।

প্রধান অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে বিহার আলোকিত করা এবং বিশ্বশান্তি প্যাগোডায় অর্থদান। উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ ইকবাল হোছাইন ও প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

বৌদ্ধ ধর্মমতে প্রবারণা পূর্ণিমা হলো আত্মশুদ্ধি ও পাপমুক্তির বিশেষ তিথি, যেখানে কঠিন চীবর দানসহ বিভিন্ন দানীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়। চিমিতং পূজা বা আকাশ প্রদীপ পূজা হলো হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে আকাশে উড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বকে আলোকিত করার প্রতীক।

পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। রাঙ্গামাটি শান্তি ও সম্প্রীতির এক লীলাভূমি।” জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ সকলকে প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

হাজার প্রদীপের আলোয় যখন বিহারের চারপাশ আলোকিত হয়, তখন সৃষ্টি হয় অপার্থিব শান্তিময় পরিবেশ। শত শত পুণ্যার্থীর উপস্থিতি প্রমাণ করে, রাঙ্গামাটির মাটি সব ধর্মের মানুষের মিলনক্ষেত্র। উৎসবের মাধ্যমে সকলেই সম্মিলিতভাবে বিশ্বশান্তি কামনা করেন এবং দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এমআর/সবা