স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাদক তালিকায় শীর্ষে থাকা কক্সবাজারের ইয়াবা ডন খ্যাত সাইফুল করিম। মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান এনে বাংলাদেশে বাজারজাত করতেন তিনি। ২০১৯ সালের ৩০ মে রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন এই চিহ্নিত মাদক কারবারি। দীর্ঘদিন কক্সবাজার জেলার শীর্ষ করদাতা হিসেবে সিআইপি (ব্যবসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি।
সাইফুল করিমের প্রতিষ্ঠান মেসার্স হানিফ ইন্টারন্যাশনাল এর নামে ইসলামী ব্যাংক ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকের কাছে তার পাওনা ৮ কোটি ২১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩১ টাকা। ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে তার বন্ধক রাখা জমি ও ভবন নিলামের মাধ্যমে পাওনা আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঋণ নেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। ২০১৯ সালে সাইফুল করিম নিহত হওয়ার পর থেকে কোনো কিস্তি পরিশোধ হয়নি। তার স্ত্রী হামিদা বেগম ও আত্মীয়দের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের পরও পাওনা আদায় সম্ভব হয়নি। নিলামের জন্য নির্ধারিত দিন ২৯ অক্টোবর দুপুর ২টা, এবং দরপত্র খোলা হবে বিকেল ৩টায়।
পাওনার মধ্যে প্রায় তিন কোটি ৬৮ লাখ টাকা আসল ঋণ, বাকি মুনাফা। বন্ধক রাখা সম্পত্তির মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সদর এলাকায় জমি, ফ্ল্যাট ও দোকান ভবন রয়েছে। নগরের ফিরিঙ্গি বাজারের ১২৫ ব্রিজঘাটের এস বিল্ডিংয়ে হানিফ ইন্টারন্যাশনালের ঠিকানা থাকলেও ফ্ল্যাটটি আবাসিক হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া নগরের কাজীর দেউড়ির ভিআইপি টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট সাইফুল করিমের স্ত্রী হামিদা বেগমের নামে রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করেছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে হামিদা বেগমের বিরুদ্ধেও ৩৪ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, তদন্তে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের ভিআইপি টাওয়ারে থাকা ফ্ল্যাটটি ইসলামী ব্যাংকে মর্টগেজ করা আছে।
নিলামের মাধ্যমে ব্যাংক আশা করছে, দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধক থাকা সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনা আদায় করা সম্ভব হবে।
এমআর/সবা




















