০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে সিইপিজেডে সাতটি পোশাক কারখানা একসঙ্গে বন্ধ

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড)-এ অবস্থিত দেশের অন্যতম বড় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ শ্রমিকদের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মপরিবেশ অনুকূল না থাকায় তাদের সাতটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে গ্রুপের ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শ্রমিকদের দুই পক্ষের উত্তেজনা, কাজ বন্ধ রেখে মারামারি, ভাঙচুর ও লুটপাটের কারণে কারখানা চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। শ্রম আইন ২০০৬ (ধারা ১৩-ক) অনুযায়ী এ ঘটনাকে ‘অবৈধ ধর্মঘট’ হিসেবে দেখিয়ে কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়। বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো হলো: প্যাসিফিক জিনস, জিনস ২০০০, ইউনিভার্সেল জিনস, এনএইচটি ফ্যাশন, প্যাসিফিক এক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যার ও প্যাসিফিক অ্যাটায়ার্স।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার জানান, বাইরে থেকে শ্রমিকদের কেউ প্ররোচনা দিচ্ছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ থাকাকালে শ্রমিকেরা কোনো বেতন পাবেন না। এদিকে শ্রমিকদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।

এর আগে এ বছর ফেব্রুয়ারিতেও প্যাসিফিক জিনস গ্রুপে সংঘর্ষের পর কারখানা বন্ধ হয়েছিল, এবং জানুয়ারিতে ইপিজেড এলাকায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, সিইপিজেডের মতো প্রধান রপ্তানি অঞ্চলে এমন অস্থিরতা দেশের পোশাকশিল্পের স্থিতিশীলতা ও রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদগাঁওয়ে ৪৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম শুরু

চট্টগ্রামে সিইপিজেডে সাতটি পোশাক কারখানা একসঙ্গে বন্ধ

আপডেট সময় : ০৬:০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড)-এ অবস্থিত দেশের অন্যতম বড় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ শ্রমিকদের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মপরিবেশ অনুকূল না থাকায় তাদের সাতটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে গ্রুপের ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শ্রমিকদের দুই পক্ষের উত্তেজনা, কাজ বন্ধ রেখে মারামারি, ভাঙচুর ও লুটপাটের কারণে কারখানা চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। শ্রম আইন ২০০৬ (ধারা ১৩-ক) অনুযায়ী এ ঘটনাকে ‘অবৈধ ধর্মঘট’ হিসেবে দেখিয়ে কারখানাগুলো বন্ধ করা হয়। বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো হলো: প্যাসিফিক জিনস, জিনস ২০০০, ইউনিভার্সেল জিনস, এনএইচটি ফ্যাশন, প্যাসিফিক এক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যার ও প্যাসিফিক অ্যাটায়ার্স।

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার জানান, বাইরে থেকে শ্রমিকদের কেউ প্ররোচনা দিচ্ছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কারখানা বন্ধ থাকাকালে শ্রমিকেরা কোনো বেতন পাবেন না। এদিকে শ্রমিকদের অভিযোগ, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।

এর আগে এ বছর ফেব্রুয়ারিতেও প্যাসিফিক জিনস গ্রুপে সংঘর্ষের পর কারখানা বন্ধ হয়েছিল, এবং জানুয়ারিতে ইপিজেড এলাকায় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, সিইপিজেডের মতো প্রধান রপ্তানি অঞ্চলে এমন অস্থিরতা দেশের পোশাকশিল্পের স্থিতিশীলতা ও রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

এমআর/সবা