বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে আরও ভালো ও নিশ্চিন্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সংগঠনের দুটি মূল দাবি ছিল—গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলোর আংশিক সংস্কার হয়েছে, পুরোপুরি হয়নি। আশা করি প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।”

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অনার্স প্রথমবর্ষের নবীনবরণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকা উচিত কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে যেই ক্ষমতায় গেছে, ফ্যাসিবাদের পরিচয় দিয়েছে। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালে মানুষ জীবন দিয়েছে মুক্তি ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায়। কিন্তু ক্ষমতায় যারা এসেছে তারা স্বৈরাচারী হয়েছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর আর কেউ স্বৈরাচারী হবে না বলেই আমরা বিশ্বাস করি।”

প্রশাসন চাইলে নির্বাচনে সহযোগিতার বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ এলে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করব।” ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমরাই সর্বোচ্চভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আওয়াজ তুলেছি। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণও করেছি। প্রশাসন ইতোমধ্যে জগন্নাথ, বেগম রোকেয়া, হাজী দানেশ ও শাবিপ্রবিতে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত তারিখ ও ইস্তেহার ঘোষণার প্রত্যাশা করি।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কারমাইকেল কলেজ ছাত্রশিবির সভাপতি আবু সুফিয়ান। বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাহবুবার রহমান বেলাল ও রংপুর মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি নুরুল হুদাসহ অন্যরা।

এমআর/সবা