কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়া দ্বীপে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল ও প্যারাবন কেটে পরিবেশ ধ্বংসের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা গত শনিবার দিবাগত রাতে মহেশখালী থানায় দায়ের করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ জনি।
মো. আব্দুল লতিফ জনি জানান, সংরক্ষিত বন দখল ও প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরির খবর পাওয়ার পরপরই পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও জানান, বনাঞ্চল রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালী থানার ওসি মঞ্জুরুল হক বলেন, “এজাহারটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এতে ১০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে, বাকি ১০ জন অজ্ঞাতনামা। তারা বন দখল ও প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরিতে জড়িত বলে অভিযোগ এসেছে।”
সোনাদিয়া দ্বীপটি দেশের অন্যতম পরিবেশ সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে পরিচিত। দ্বীপটির সংরক্ষিত বনাঞ্চল ম্যানগ্রোভ বন, যা সমুদ্রসৈকতের ক্ষয়রোধে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বনাঞ্চল ধ্বংস ও অবৈধ চিংড়ি খামার নির্মাণ করলে সমুদ্রসৈকতের ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট ঝুঁকিও বাড়বে।
পরিবেশবাদী ও স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে। তারা সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, বনাঞ্চল রক্ষায় পর্যবেক্ষণ বাড়ানো ও স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এমআর/সবা





















