জামালপুর–৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দলটির স্থানীয় রাজনীতিতে দুই প্রভাবশালী নেতার গ্রুপিং ও অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের কন্যা সালিমা তালুকদার আরুণীর অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা সতর্ক করে বলছেন, যে কোনো সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
দলের সূত্রে জানা গেছে, ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। দলের কঠিন সময়ে তিনি হামলা-মামলা মোকাবিলা করে সংগঠন ধরে রেখেছেন এবং সম্প্রতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির অনেক নেতা তাঁকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
অপরদিকে, সালিমা তালুকদার আরুণী সম্প্রতি সরিষাবাড়ীর রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কিছু অভিযোগ রয়েছে, যে দলের দুর্দিনে তিনি সক্রিয় ছিলেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই গ্রুপের অনুসারীরা মিছিল, সভা ও দলীয় কর্মসূচিতে প্রকাশ্য অবস্থান নিচ্ছেন। উপজেলা পর্যায়ের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করেছেন, তবে দ্বন্দ্ব মিটেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অভ্যন্তরীণ বিভক্তি অব্যাহত থাকলে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
জামালপুর জেলা বিএনপির তথ্য অনুযায়ী, বিষয়টি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দপ্তরে পৌঁছেছে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। স্থানীয় নেতা বলেছেন, “কেন্দ্র চায় ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে, কিন্তু গ্রুপিং রাজনীতি থামতে না পারলে তা দলের জন্য বড় সমস্যা হবে।”
সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুরুজ মিয়া বলেন, “মনোনয়ন ঘিরে এই টানাপোড়েন সরিষাবাড়ীর রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দলের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত ও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া দুয়ের ভারসাম্য বজায় রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
এমআর/সবা


























