রংপুর অঞ্চলে হঠাৎ বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় আমন ধান, আলু ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকাপাকা ধান নুইয়ে পড়ে, আলু ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে এবং ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ ও পেঁয়াজের ক্ষেতেও ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া চলছে। শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করলে অনেক মাঠে ধানগাছ নুইয়ে পড়েছে। নীলফামারী ও গাইবান্ধার আমন ধান ও শীতকালীন শাকসবজিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একজন কৃষক জানান, “ধানগুলো ভালো পাওয়া যাবে না। যে কয়েকটা গাছ দাড়িয়ে আছে, যদি এমন আবহাওয়া চলতে থাকে, সেগুলোও পড়ে যাবে। পড়ে যাওয়া গাছ থেকে সামান্য ধান পাওয়া যাবে। আলু ক্ষেতেও পানি জমেছে, ফলে বীজ পচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।”
প্রাথমিকভাবে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, আক্রান্ত জমির পরিমাণ—ধান ৫৮১ হেক্টর, আলু ২৩.৫ হেক্টর এবং সবজি ২২.৫ হেক্টর। মাঠ কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিতে।
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটেও আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আধপাকা ধান নুইয়ে পড়েছে, আলু ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে এবং সবজি ক্ষেতেও ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এমআর/সবা

























