বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, “নির্বাচন যত দ্রুত হবে, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তত শক্তিশালী হবে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্রহীনতার সংস্কৃতির মধ্যে বিশাল একটি তরুণ সমাজ বেড়ে উঠেছে, যারা ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে এখনও অনভিজ্ঞ। এই যাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো আগামী নির্বাচনের বড় শক্তি আমাদের তরুণ সমাজ। তাদের হাতে নির্ধারিত হবে কারা সরকার গঠন করবে এবং দেশ পরিচালনা করবে।”
শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে ‘অঙ্গীকার’ আয়োজিত “তারুণ্যের নির্বাচন ভাবনা ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অঙ্গীকারের পরিচালক হাসান মুকুল।
সেমিনারে আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মুহাম্মদ আল আমিন। নাজমা সাঈদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এজিএম নিয়াজ উদ্দীন, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচএম রাশেদ খান, সদস্য সচিব জমির উদ্দীন নাহিদ এবং মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম। ইমরান এমি ও শফিউল বাশার সামু শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।
সেমিনারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তারা আগামী নির্বাচন ও রাজনীতি নিয়ে তাদের ভাবনা তুলে ধরে প্রশ্ন করেন, যা আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ উত্তর দেন।
ড. মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, “দেশের মোট ভোটারের অর্ধেক নারী। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নারীদের আশা, আকাঙ্ক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা। তাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজে সম্পৃক্ত করা দরকার।”
মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, “যুবকদের নিয়ে, তারুণ্যের ভাবনা নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখি। যুবকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমরা ৩১ দফায় ধারণ করেছি। সারাদেশের তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনাকে আহরণ করেছি।”
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচএম রাশেদ খান বলেন, “একটি তরুণ নির্ভর বাংলাদেশ হবে, যুবকদের কর্মসংস্থান নির্ভর বাংলাদেশ হবে। যুবক ও তরুণদের চিন্তা-ভাবনাকে কেন্দ্র করে, প্রযুক্তি ও মেধা নির্ভর বাংলাদেশ গঠন সম্ভব। তাদের ভাবনা-চেতনাকে ধারণ করেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।”
এমআর/সবা






















