সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম।
গত সোমবার (৩ নভেম্বর, ২০২৫) বিকেলে ঢাকার গুলশানস্থ চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই মনোনয়ন ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও দলীয় সূত্রের মতে, এনামের এই মনোনয়ন প্রাপ্তির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম, জেল-জুলুম ও হয়রানির মধ্যেও মাঠ না ছাড়ার মানসিকতা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন, যা তাকে একজন কর্মী-বান্ধব নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। যদিও সেসময় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি, তবুও তিনি মামলা, হামলা ও হয়রানির শিকার হওয়ার পরও পটিয়ার মাঠ ছেড়ে যাননি। বিশেষ করে, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তার দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক তৎপরতা অন্য নেতাদের তুলনায় দৃশ্যমান ছিল।
মনোনয়ন পাওয়ার পর এনামুল হক এনাম দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই মনোনয়ন তার দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও কাজের স্বীকৃতি। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য দিয়ে তিনি জানান, “এই মুহূর্তে কোনো উল্লাস বা মিষ্টি বিতরণ করবেন না। কোনো আপত্তিকর মন্তব্য করবেন না।”
তিনি বলেন, “বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের মিথ্যা মামলা, হয়রানি, নির্যাতন ও জেল-জুলুমের ফলে অসংখ্য নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় দিয়ে তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।”
এনামুল হক এনাম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের জন্য পটিয়ার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ধানের শীষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি দলের সব নেতাকর্মীদের প্রতি ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে এখন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এমআর/সবা






















