০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁর পোরশায় মুক্ত আকাশে ডানা মেললো ছয়টি বালি হাঁস

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ছয়টি অতিথি পাখি বালি হাঁস উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। তার দ্রুত তৎপরতায় অবৈধভাবে আটক রাখা এই পাখিগুলো ফিরে পেয়েছে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে।

বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বালি হাঁস আটক রাখা হয়েছিল বলে খবর পায় প্রশাসন। পরে ইউএনও রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয়টি বালি হাঁস উদ্ধার করে নিতপুর পূর্ণভবা নদীর তীরে অবমুক্ত করেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।

ইউএনও রাকিবুল ইসলাম বলেন, “কেউ কি তার বাসায় আসা অতিথিদের হত্যা করে? তাহলে আমাদের এলাকায় আসা অতিথি পাখিদের কেন হত্যা বা বিক্রি করা হবে?” তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী অতিথি বা পরিযায়ী পাখি ধরা, হত্যা, বিক্রয় বা ভক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “এমন অপরাধ কেউ পুনরায় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইউএনও রাকিবুল ইসলাম সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, তার এমন উদ্যোগ শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, সমাজেও সচেতনতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নওগাঁর পোরশায় মুক্ত আকাশে ডানা মেললো ছয়টি বালি হাঁস

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় ছয়টি অতিথি পাখি বালি হাঁস উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল ইসলাম। তার দ্রুত তৎপরতায় অবৈধভাবে আটক রাখা এই পাখিগুলো ফিরে পেয়েছে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে।

বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বালি হাঁস আটক রাখা হয়েছিল বলে খবর পায় প্রশাসন। পরে ইউএনও রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয়টি বালি হাঁস উদ্ধার করে নিতপুর পূর্ণভবা নদীর তীরে অবমুক্ত করেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।

ইউএনও রাকিবুল ইসলাম বলেন, “কেউ কি তার বাসায় আসা অতিথিদের হত্যা করে? তাহলে আমাদের এলাকায় আসা অতিথি পাখিদের কেন হত্যা বা বিক্রি করা হবে?” তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী অতিথি বা পরিযায়ী পাখি ধরা, হত্যা, বিক্রয় বা ভক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “এমন অপরাধ কেউ পুনরায় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইউএনও রাকিবুল ইসলাম সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, তার এমন উদ্যোগ শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, সমাজেও সচেতনতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

এমআর/সবা