০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধরা দিল স্বপ্নের পাহাড় কাঞ্চনজঙ্ঘা

ছবিটি সানিয়াজান নদীর ওপর থেকে তোলা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ও সানিয়াজান নদীর আশপাশ এলাকা থেকে এবার স্পষ্ট দেখা গেছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। বরফে মোড়া রূপালি চূড়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটি বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালেই স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মাঝে উৎসাহের ঢেউ সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় ও ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীরা ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা ব্যারেজ ও আশেপাশের উঁচু স্থানগুলোতে ছুটে আসেন। কেউ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন, কেউ আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

দর্শনার্থী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, “১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে মনে হলো সাদা বরফে মোড়া কোনো স্বপ্নের পাহাড়।” অন্য দর্শনার্থী ও প্রকৃতিপ্রেমী রিমন যোগ করেন, “যদিও স্বল্প সময়ের জন্য দেখা যায়, তবুও এই দৃশ্য তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। চাইলে এটিকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারেজকে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্রে রূপ দেওয়া সম্ভব।”

স্থানীয়রা জানান, শীতের সময় আকাশ পরিষ্কার থাকলে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশেই দাঁড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি পর্যটন অবকাঠামো উন্নত করা হয় এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়, তবে হাতীবান্ধা হয়ে উঠতে পারে কঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র।

এবারের দৃশ্যটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে কারণ গত কয়েকদিনের স্থিতিশীল ও পরিষ্কার আকাশের কারণে পাহাড়ের রূপালী চূড়া স্পষ্ট দেখা গেছে। স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তারা মনে করেন, এটি হাতীবান্ধার পর্যটন খাতকে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচার না হওয়া পর্যন্ত, আমরা রাজপথ ছাড়ব না: জুমা

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধরা দিল স্বপ্নের পাহাড় কাঞ্চনজঙ্ঘা

আপডেট সময় : ০৫:৪০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ও সানিয়াজান নদীর আশপাশ এলাকা থেকে এবার স্পষ্ট দেখা গেছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। বরফে মোড়া রূপালি চূড়ার মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটি বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালেই স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মাঝে উৎসাহের ঢেউ সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় ও ভ্রমণপিপাসু দর্শনার্থীরা ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা ব্যারেজ ও আশেপাশের উঁচু স্থানগুলোতে ছুটে আসেন। কেউ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন, কেউ আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

দর্শনার্থী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, “১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে মনে হলো সাদা বরফে মোড়া কোনো স্বপ্নের পাহাড়।” অন্য দর্শনার্থী ও প্রকৃতিপ্রেমী রিমন যোগ করেন, “যদিও স্বল্প সময়ের জন্য দেখা যায়, তবুও এই দৃশ্য তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। চাইলে এটিকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারেজকে আন্তর্জাতিকমানের পর্যটনকেন্দ্রে রূপ দেওয়া সম্ভব।”

স্থানীয়রা জানান, শীতের সময় আকাশ পরিষ্কার থাকলে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায়ই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশেই দাঁড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি পর্যটন অবকাঠামো উন্নত করা হয় এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়, তবে হাতীবান্ধা হয়ে উঠতে পারে কঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র।

এবারের দৃশ্যটি আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে কারণ গত কয়েকদিনের স্থিতিশীল ও পরিষ্কার আকাশের কারণে পাহাড়ের রূপালী চূড়া স্পষ্ট দেখা গেছে। স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তারা মনে করেন, এটি হাতীবান্ধার পর্যটন খাতকে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে।

এমআর/সবা