০২:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান ছাই 

হঠাৎ আগুন। মুহূর্তেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল পুরো বাজার।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত আটটি দোকান পুড়ে যায়। রাতের আঁধারে হারিয়ে যায় বহু ব্যবসায়ীর জীবনের সঞ্চয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বলছেন—ঘটনাটি হয়তো নাশকতা বা শত্রুতার ফলেও ঘটতে পারে।

বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম বান্টু বলেন, “হেফজখানা সংলগ্ন গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন এত দ্রুত ছড়ায় যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দোকানগুলো ছাই হয়ে যায়।”

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. শাহিন জানান, “বিপুল পরিমাণ গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।”

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার শহিদুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “দুই দিন আগে ঋণ নিয়ে দোকানে নতুন মাল তুলেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল। অন্তত ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

অন্যদিকে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, “আমার দোকানে কেউ কয়েল জ্বালায়নি। মনে হয় কেউ শত্রুতার কারণে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।”

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুরুল হক বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে বাজার পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা চলছে।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান ছাই 

আপডেট সময় : ০৭:২১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

হঠাৎ আগুন। মুহূর্তেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল পুরো বাজার।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত আটটি দোকান পুড়ে যায়। রাতের আঁধারে হারিয়ে যায় বহু ব্যবসায়ীর জীবনের সঞ্চয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বলছেন—ঘটনাটি হয়তো নাশকতা বা শত্রুতার ফলেও ঘটতে পারে।

বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম বান্টু বলেন, “হেফজখানা সংলগ্ন গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন এত দ্রুত ছড়ায় যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দোকানগুলো ছাই হয়ে যায়।”

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. শাহিন জানান, “বিপুল পরিমাণ গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।”

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার শহিদুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “দুই দিন আগে ঋণ নিয়ে দোকানে নতুন মাল তুলেছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল। অন্তত ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

অন্যদিকে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, “আমার দোকানে কেউ কয়েল জ্বালায়নি। মনে হয় কেউ শত্রুতার কারণে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।”

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুরুল হক বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে বাজার পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা চলছে।”

এমআর/সবা