লালমনিরহাটের তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, সানিয়াজানসহ বিভিন্ন নদীর তীরবর্তী জেগে ওঠা চর এখন দেখা যাচ্ছে সবুজের সমারোহ । একসময় যেখানে ছিলো অথৈ পানি ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হতাশা, সেখানে এখন বিস্তীর্ণ বালুচরে গড়ে উঠেছে সবজি ক্ষেত—যা এনে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা।
চরাঞ্চলের কৃষকরা এসব জমিতে ধান, ভুট্টা , আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কুমড়া, লাউ, টমেটো, মরিচ, রসুন, সরিষা, শাকসবজিসহ নানা ফসল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। তিন-চার মাসের ব্যবধানে এসব ফসল উৎপাদন করে জেলার চরে কয়েক কোটি টাকার কৃষিপণ্য বাজারজাত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
রত্নাই নদী তীরের কৃষক কমল কান্ত বর্মন ও তিস্তা নদী পাড়ের কৃষক মো. জহির আলী জানান, আগে বালুময় এ জমি চাষের অনুপযোগী মনে হতো। এখন সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। জমি আর পতিত নেই, প্রায় সব জমিতেই ফসল ফলছে।
একইভাবে ধরলা নদীর চর খাটামারী এলাকার কৃষক এস এম হাসান আলী বলেন, “ধান, ভুট্টা, কুমড়া, লাউ থেকে শুরু করে নানান সবজি চাষে আমাদের আয় বেড়েছে। আগের মতো অভাব নেই, সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরেছে।”
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব জানান, কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে চরের ফসল আরও ভালো ফলন ও লাভ এনে দেবে।
চরের মাটি ও পরিশ্রমী কৃষকের সৃজনশীলতায় লালমনিরহাটের নদীভাঙনের দুঃখ মুছে দিয়ে ধীরে ধীরে জন্ম নিচ্ছে সবুজের বাস্তব ‘বিপ্লব’।
এমআর/সবা





















